গোপালগঞ্জে বন্ধ বেশিরভাগ দোকানপাট, জনমনে এখনো আতঙ্ক
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:০৬ অপরাহ্ন, ১৯শে জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর জারি করা কারফিউ ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
কারফিউ শিথিল হলেও সেখানে জনমনে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজনেও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। শহরের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন: সমাবেশে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল উপজেলা জামায়াত আমিরের
শনিবার সকাল ১০টা থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কিছু যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। তবে যাত্রী তেমন নেই। কিছু মানুষ এদিক-ওদিক যাচ্ছেন। লঞ্চঘাট এলাকায় দু-একটি দোকান ছাড়া বাকি দোকানগুলো বন্ধ দেখা গেছে। শহরের চৌরঙ্গী, বটতলা, কালিবাড়ী, বিসিকসহ থানাপাড়া এলাকায়ও একই চিত্র দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজনে কিছু মানুষ আর কিছু দিনমজুর ঘর থেকে বের হয়েছেন। এর মধ্যে দিনমজুরের সংখ্যাই বেশি।
জেলা শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় কথা হয় লিমন নামে এক যুবকের সঙ্গে। তিনি বলেন, জরুরি কাজে শহরে এসেছিলাম। তবে কাজ হবে কি না জানি না। বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ। এখনো জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কখন জানি গ্রেপ্তার হই! বিভিন্ন এলাকায় রাতে অভিযান পরিচালনা করায় সাধারণ মানুষ অনেকেই ঘরবাড়ি ছাড়া।
বিসিক এলাকায় কথা হয় সুরুজ নামে এক বৃদ্ধর সঙ্গে। তিনি বলেন, কারফিউ নেই জেনে বাজার করতে এসেছি। শহরে লোকজনের আনাগোনা একদমই নেই। বাজার করছি, তবে ভেতরে ভেতরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের মামলা, গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান
মাহমুদ মিয়া নামে এক ইজিবাইক চালক বলেন, গত তিন দিন ধরেই শহরে গাড়ি চালাচ্ছি। তবে ইনকাম নেই। আজকে কারফিউ নাই, ভাবছিলাম কিছু আয় হবে, তবে সেই পরিমাণ ইনকাম হচ্ছে না। যাত্রীরা ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
জেলা শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. রুহুল আমিন সরকার। তার সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। কারফিউ নেই, যার কারণে সাধারণ মানুষ অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন। আমরা অভিযানও পরিচালনা করছি। তবে অভিযানে যেন নিরপরাধ কেউ আটক না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রেখে কাজ করছি।
এমএল/