অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সুশীলের ভূমিকায় দেখতে চাই না : সারজিস


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:১৮ অপরাহ্ন, ১৯শে জুলাই ২০২৫


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সুশীলের ভূমিকায় দেখতে চাই না : সারজিস
ছবি: সংগৃহীথ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে একটি নিরপেক্ষ ‘সুশীল’ প্রশাসন হিসেবে নয়, বরং অভ্যুত্থান-পরবর্তী ক্ষমতাসীন সরকার হিসেবে দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।


শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে এক বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।


সারজিস বলেন, “অভ্যুত্থানের এক জুলাই পেরিয়ে আমরা আরেক জুলাইয়ে এসেছি। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে মুজিববাদীদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। গোপালগঞ্জে এখনো মুজিববাদীরা আস্তানা গেড়ে রয়েছে। শুধু আইনিভাবে এই মুজিববাদের মোকাবিলা করা যাবে না। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে এই মুজিববাদের কোমর ভেঙে দিতে হবে।”


তিনি আরও বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু এই মুজিববাদের প্রশ্নে অভ্যুত্থানের সব সৈনিককে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”


সারজিস আলম তার বক্তব্যে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশে আবারো মুজিববাদী-ভারতপন্থি শক্তি সক্রিয় হচ্ছে। এ দেশে আর কোনো পন্থির জায়গা হবে না। দেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কোনো জায়গা হবে না।”


তিনি অভিযোগ করেন, গত কয়েক মাসে সহস্রাধিক ছাত্র ও সাধারণ জনগণ জীবন দিয়েছেন, কিন্তু তাদের স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, “আমরা তাদের কাছে সুশীল সরকারের ভূমিকা চাই না, আমরা তাদের অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের ভূমিকায় দেখতে চাই।”


এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে “খুনি” হিসেবে উল্লেখ করে তার বিচারের দাবি জানান এবং বলেন, “দেশের বিচার বিভাগকে কোনো দলের বিচার বিভাগ হিসেবে দেখতে চাই না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ক্ষমতার তোষামোদ বাহিনী হিসেবে দেখতে চাই না। আমাদের নতুন সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচন লাগবে। নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”


রাজনৈতিক ঐক্যের প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, “ফ্যাসিস্টবিরোধী আমাদের যে শক্তি, এদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ থাকতে গিয়ে অন্ধভাবে কারো দালালি করা যাবে না। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু তার সৌন্দর্য নষ্ট করা যাবে না।”


এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন বক্তব্য দেশের বর্তমান রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।