চাঁদের দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, হানতে পারে ভয়াবহ আঘাত!
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জুলাই ২০২৫

২০২৪ ওয়াইআর৪ নামের একটি বিশাল গ্রহাণু আগামী ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর চাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে নাসা। গ্রহাণুটি প্রায় ২০০ ফুট চওড়া, যা একটি ১৫ তলা ভবনের সমান এবং একে বলা হচ্ছে একটি ‘সিটি-কিলার’ অ্যাস্টেরয়েড। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, এই গ্রহাণুটির চাঁদের সঙ্গে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা বর্তমানে ৪.৩ শতাংশ, যা পূর্বের ৩.৮ শতাংশ থেকে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: এবার গুগল নিয়ে এলো ভার্চুয়ালী পোশাক ট্রায়াল
নাসা জানিয়েছে, এই গ্রহাণুটির চাঁদের সঙ্গে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা এখন ৪.৩ শতাংশ, যা পূর্বের ৩.৮ শতাংশ থেকে বেড়েছে। যদি এটি সত্যিই চাঁদে আঘাত হানে, তাহলে তা হবে এই দশকের সবচেয়ে দৃশ্যমান মহাজাগতিক বিস্ফোরণ—যা সাধারণ টেলিস্কোপ দিয়েও দেখা সম্ভব হবে।
চাঁদের পৃষ্ঠে এ আঘাত হলে প্রায় এক কিলোমিটার চওড়া একটি গর্ত সৃষ্টি হতে পারে, যা একটি বৃহৎ বিস্ফোরণের ফলাফল হবে। যদিও এই আঘাতে চাঁদের কক্ষপথ পরিবর্তিত হবে না এবং পৃথিবীর ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে না, তবে কিছু মেটিওর বা ধ্বংসাবশেষ বুলেটের গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসতে পারে।
নাসার বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, ধ্বংসাবশেষের কিছু অংশ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় পুড়ে গেলেও, কিছু উপগ্রহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে জিপিএস, ইন্টারনেট ও আবহাওয়া পূর্বাভাস নির্ভর প্রযুক্তি এতে ব্যাহত হতে পারে।
নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স টিম ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ও অন্যান্য দূরবীন থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে গ্রহাণুটির গতি ও কক্ষপথ নির্ধারণ করা হচ্ছে।
নাসার গবেষক মলি ওয়াসার জানিয়েছেন, এই অ্যাস্টেরয়েডটি এখন সূর্যের চারপাশে আবর্তিত হচ্ছে। যদি নিউমির নামক ইনফ্রারেড টেলিস্কোপটি আগে থেকেই সক্রিয় থাকতো, তাহলে এই গ্রহাণুটিকে এক মাস আগেই শনাক্ত করা যেত।
আরও পড়ুন: উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনার আগে রহস্যময় ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল , যা জানা গেল
যদিও এটি পৃথিবীর জন্য তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি নয়, তবে এটি হতে পারে একটি যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ, এবং ভবিষ্যতের গ্রহ প্রতিরক্ষা কৌশল পরখ করার এক বিরল সুযোগ।
এ ঘটনা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দেয়—মহাশূন্যে পৃথিবীর অস্তিত্ব কতটা অনিশ্চিত এবং সতর্কতাই আমাদের একমাত্র নিরাপত্তা।
সূত্র: নাসা
এসডি/