২০ শতাংশ শুল্ক অন্তর্বর্তী সরকারের আরেকটি সফলতা: আসিফ নজরুল


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:২১ পিএম, ১লা আগস্ট ২০২৫


২০ শতাংশ শুল্ক অন্তর্বর্তী সরকারের আরেকটি সফলতা: আসিফ নজরুল
ফাইল ছবি।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। এ সিদ্ধান্তকে অন্তর্বর্তী সরকারের আরেকটি কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।


শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি লেখেন, “১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ। অ্যানাদার সাকসেস অব ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট।”


এর আগের দিন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক ঘোষণায় শুল্ক হার হ্রাসের বিষয়টি জানানো হয়। নতুন ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শুল্ক ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পূর্বের ৩৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কম।


অন্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।


বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এ সিদ্ধান্তকে ‘গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অর্জন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “আজ আমরা সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক এড়াতে সফল হয়েছি। এটা আমাদের পোশাক খাত ও এ খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য সুসংবাদ।”


বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলও এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বাজার সংকুচিত হওয়ায় ভারতকে বিকল্প ভাবা হচ্ছিল। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, ভারতের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ, আর বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ। এতে মার্কিন ক্রেতারা বাংলাদেশকেই নতুন বিকল্প হিসেবে বিবেচনায় নিতে পারেন।”


বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে নতুন সুযোগ তৈরি করবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক সক্ষমতার আরেকটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।


আরএক্স/