রিজভীকে দিয়ে জাপার দুর্গ ভাঙতে চায় বিএনপি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ১৪ই আগস্ট ২০২৫


রিজভীকে দিয়ে জাপার দুর্গ ভাঙতে চায় বিএনপি
ফাইল ছবি।

জাতীয় পার্টির অপ্রতিরোধ্য দুর্গ হিসেবে পরিচিত কুড়িগ্রাম-২ আসন। দীর্ঘদিন ধরে আসনটি জাতীয় পার্টির (জাপা) দখলে থাকলেও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে আসনটি দখলে নিতে মরিয়া দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। 


অতীতে প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ থেকে শুরু করে দলের একাধিক প্রার্থী এ আসনে জয়ী হয়েছেন। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভাবনীয় বিজয়ের পর জাপার অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যায়। এবার আসনটি দখলে নিতে মাঠে নামছে বিএনপি। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।


স্থানীয়রা বলছেন,নির্বাচন সুষ্ঠু হলে রুহুল কবির রিজভীর মতো ত্যাগী ও সিনিয়র নেতা দিয়ে জাতীয় পার্টির অপ্রতিরোধ্য দুর্গ বিএনপি ভাঙতে পারবে। তবে ইসলামি দলগুলো জোট করলে সে আশায় গুড়েবালি। তার ওপর যদি সেই জোটে এনসিপির মতো নতুন দলগুলো যুক্ত হয় তবে বিএনপির পক্ষে এ আসনে ভালো ফল করা কঠিন হবে।


কুড়িগ্রাম সদর,ফুলবাড়ি ও রাজারহাট উপজেলা নিয়ে কুড়িগ্রাম-২ আসন গঠিত। এ আসনে ২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার ২০২। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৮০ হাজার ৭৩৬,নারী ভোটার দুই লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৩ ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার তিনজন।


আসনটিতে নদীভাঙন,শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবের কারণে বরাবরই অবহেলিত। এখানকার ভোটাররা সাধারণত জাতীয় ইস্যুর চেয়ে স্থানীয় সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। চরাঞ্চল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভোট এ আসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


আসনটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু,যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান হাসিব ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদের নাম।


এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী সরকার,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা নূর বখত,জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ড. আতিক মুজাহিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।


লাখের বেশি হিন্দু ভোটারের মন জয়ে তৎপর বিএনপি-জামায়াত জোটে বদলে যেতে পারে ভোটের হিসাবনিকাশ জেলা বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়,বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী দল যাকেই মনোনয়ন দেবে দলীয় নেতাকর্মীরা এক হয়ে সেই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।


নির্বাচন সুষ্ঠু হলে রুহুল কবির রিজভীর মতো ত্যাগী ও সিনিয়র নেতা দিয়ে জাতীয় পার্টির অপ্রতিরোধ্য দুর্গ বিএনপি ভাঙতে পারবে। তবে ইসলামি দলগুলো জোট করলে সে আশায় গুড়েবালি। তার ওপর যদি সেই জোটে এনসিপির মতো নতুন দলগুলোও যুক্ত হয় তবে বিএনপির পক্ষে এ আসনে ভালো ফল করা কঠিন হবে। আসনটিতে নদীভাঙন,শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবের কারণে বরাবরই অবহেলিত। এখানকার ভোটাররা সাধারণত জাতীয় ইস্যুর চেয়ে স্থানীয় সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। চরাঞ্চল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভোট এ আসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


বিগত জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়,২০০১ সালে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এক লাখ ২৩ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির তাজুল ইসলাম চৌধুরী। ২০০৮ সালে দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুই লাখ ৯ হাজার ৫০৫ ভোট পেয়ে আসনটি দখলে রাখেন। ২০০৯ সালে আসনটি ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলী এক লাখ ৪০ হাজার ৭৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। পরে ২০১৪ সালে তাজুল ইসলাম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি) লাঙল প্রতীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ লাঙল প্রতীক নিয়ে এক লাখ ১৫ হাজার ভোট পেয়ে আসনটি দখলে রাখেন।


বিএনপি-জামায়াত দুই দলই আশাবাদী বিএনপির চ্যালেঞ্জ জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টি এ আসনটি নিজেদের কব্জায় রাখলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনে পনির উদ্দিন আহমেদের জনবিচ্ছিন্নতা,সাংগঠনিক দুর্বলতা ও নিষ্ক্রিয়তায় তাকে বড় ব্যবধানে হারান স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হামিদুল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হামিদুল হক ট্রাক প্রতীক নিয়ে এক লাখ দুই হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।


ইসলামি দলগুলোও তাদের নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং তারা মাঠে কাজ করছে। তফসিল হলে ইনশাআল্লাহ ইসলামি দলগুলো একই প্ল্যাটফর্মে আসবে। পরিশেষে এ আসন হাতপাখারই থাকবে। এনসিপি ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যের প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছে। পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পাতানো নির্বাচন থেকে দূরে ছিল বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির শক্ত ঘাঁটিতে হানা দিতে প্রস্তুত বিএনপি। সেই লক্ষ্যে ওয়ার্ড থেকে পাড়া-মহল্লায় নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করতে কাজ করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।


তবে সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে,ততই বাড়ছে তরুণ ভোটারদের আগ্রহ,প্রশ্ন ও প্রত্যাশা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ, অর্থনৈতিক সংকট,দুর্নীতি এবং কর্মসংস্থান ইস্যু কেন্দ্র করে এবার এক নতুন ধরনের সচেতনতা তৈরি হয়েছে তরুণ ভোটারদের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ ডিজিটাল মিডিয়ায় তরুণদের ভোট নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করছে এক নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা।


তরুণ নেতা এনসিপি মনোনীত প্রার্থী ড. আতিক মুজাহিদ দৈনিক জনবাণীকে বলেন,কুড়িগ্রামে কোনো ভিশন নেই। কুড়িগ্রামকে একটা ভিশন দিতে চাই। আত্মনির্ভরশীল ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জেলা হিসেবে বিনির্মাণ করতে চাই। কুড়িগ্রাম ৬৩ নম্বর জেলা হিসেবে থাকবে না,তিন নম্বর জেলায় রূপান্তরিত করা হবে। আমরা ত্রাণ চাই না,কর্মসংস্থান চাই,কাজের সুযোগ চাই। এই মানসিকতা তৈরি করতে হবে।


 নদীভাঙন প্রতিরোধ করতে হবে। কীভাবে করতে হবে এজন্য মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। স্বাস্থ্য সিস্টেমের পরিবর্তন আনতে হবে। যেখানে ১১৬ জন ডাক্তারের জায়গায় মাত্র ১৩ জন ডাক্তার দিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এতে গরিব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাসপাতালে আইসিইউ নেই,নারীদের স্পেশাল বেড নেই। স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।


তিনি আরও বলেন,বিশেষ করে চর এবং গ্রামের নারীদের নিয়ে কুড়িগ্রামে ‘কুড়ি শিল্প’ নির্মাণ করতে চাই,যেটা নারীদের উন্নয়নে নানামুখী কাজ করবে। তরুণদের ব্যাপারে স্পেশালি মাল্টি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার করতে চাই যেখানে তাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। ফ্রিল্যান্সিং,বিদেশ যাওয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন করতে চাই। পাশাপাশি কুড়িগ্রামে। আইটি সেন্টার নিয়ে আসার চেষ্টা করবো যাতে তরুণরা চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে পারে। এই জেলাকে স্বাবলম্বী করতে হলে তরুণ ও নারীদের স্বাবলম্বী করা দরকার। কুড়িগ্রামকে পরিবর্তন করতে এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করবো। ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি ভোট এলে উৎসব শুরু হতো। কিন্তু গত নির্বাচন গুলোতে তেমন আমেজ ছিল না। একটা গোষ্ঠী বা দলের ভোট বলে আমরা জানতাম। মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না আমি নিজে কখনো ভোট দিতে যাইনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচন নিয়ে আমাদের অনেক প্রত্যাশা।


বিএনপির মনোয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা,চর উন্নয়ন ও মাদক প্রতিরোধ কমিটি কুড়িগ্রাম জেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু দৈনিক জনবাণীকে বলেন,ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে বিএনপি নির্বাচন বয়কট করেছে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহণ ছিল না। ফলে আসনটি জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ ভাগাভাগি করে নেয়। এবার আর সেটা হবে না,এ আসনে বিএনপি'র জয় হবে। সে লক্ষ্যে আমরা তৃণমূল থেকে কাজ করছি। ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত দলকে সুসংগঠিত করতে আমাদের নেতাকর্মীরা কাজ করছে।


তিনি আরও বলেন,আমরা চরের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছি। চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে চরবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে সভা-সমাবেশ করছি। এছাড়া কুড়িগ্রাম জেলাকে মাদকমুক্ত করতে প্রত্যেক উপজেলায় মাদক প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছি। এই কমিটি প্রতিটি উপজেলায় মাদক প্রতিরোধ করতে প্রশাসনের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।


জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী সরকার বলেন,কুড়িগ্রাম একটি দারিদ্রপীড়িত জেলা। আমি নির্বাচিত হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে একটি আইসিইউ ইউনিট চালু করা হবে। কুড়িগ্রাম জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও বেকার ভাই-বোনদের বেকারত্ব দূর করতে বন্ধ টেক্সটাইল মিলটি পুনরায় চালু করা হবে। প্রয়োজনীয় নদীশাসন করে ধরলা নদীতে ধরলা ব্যারাজ প্রকল্প ও বাস্তবায়নের লক্ষ্য সেচের আওতায় কৃষির উন্নয়ন করা হবে। কুড়িগ্রাম শহরসহ গ্রাম অঞ্চলের বাজারগুলো উন্নত করা হবে। সরকারি অর্থ আত্মসাৎ,ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চাঁদাবাজিসহ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রেখে মাদকমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন,ভেঙে পড়া সমাজ ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা এবং সার্বিকভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ অন্য সমস্যা চিহ্নিত করে সুষ্ঠু সমাধানের ব্যবস্থা করবো।


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা নূর বখত বলেন,ইসলামি দলগুলোও তাদের নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং তারা মাঠে কাজ করছে। তফসিল হলে ইনশাআল্লাহ ইসলামি দলগুলো একই প্ল্যাটফর্মে আসবে। পরিশেষে এ আসন হাতপাখারই থাকবে। এনসিপিও ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যের প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছে। তবে নির্বাচনের পরিস্থিতি কী হয় শেষ পর্যন্ত এ আসন কারা পায় সেটা দেখার অপেক্ষায় জনগণের সঙ্গে আমরা প্রার্থীরাও আছি। আমার বিশ্বাস জোটের মাধ্যমে এ আসনে বিজয় লাভ করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন,কোনো কারণে জোট না হলে নির্বাচনে তিনটি দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সেটা হলো বিএনপি,চরমোনাই আর জামায়াত। তবে এককভাবে নির্বাচন করে বিজয়ের চ্যালেঞ্জ কোনো দলই নিতে পারবে না। নির্বাচনে এই তিন দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।


কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফায়াত সিদ্দিকী বলেন, ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি ভোট এলে উৎসব শুরু হতো। কিন্তু গত নির্বাচনগুলোতে তেমন আমেজ ছিল না। একটা গোষ্ঠী বা দলের ভোট বলে আমরা জানতাম। মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না আমি নিজে কখনো ভোট দিতে যাইনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচন নিয়ে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। আমরা চাই আগামী নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুষ্ঠু,অবাধ,নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে।


এই আসনের ভোটার রাজারহাট উপজেলার রহিম বাদশা বলেন,বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোট দিতে পারিনি। একজন সাধারণ ভোটার হিসেবে আমি নিজের ভোটটা স্বাধীনভাবে যেন দিতে পারি এটাই চাওয়া। আগে যেমন ভয়ভীতি আর অজানা আতংক ছিল,এবার যেন এর পরিবর্তন হয়। স্বাধীন দেশে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার অধিকারটুকুও যেন আর না হারাই। সাধারণ মানুষ হিসেবে এটাই প্রত্যাশা।


এসডি/