জুলাই সনদ
রাষ্ট্রপতির নির্বাচনসহ ক্ষমতা ও অপসারণ প্রক্রিয়ায় নতুন প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৭ই আগস্ট ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ধারাবাহিক বৈঠকের পর জুলাই সনদের খসড়া চূড়ান্ত করেছে এবং তা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খসড়া বিষয়ে মতামত আগামী ২০ আগস্ট বিকেল ৪টার মধ্যে কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে প্রকাশিত খসড়ায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহ, গুরুতর অসদাচরণ বা সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে আইনসভার নিম্নকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে প্রস্তাব পাস হওয়ার পর তা উচ্চকক্ষে পাঠানো হবে। উচ্চকক্ষের শুনানি শেষে একই হারে সমর্থন পেলে অভিশংসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এ প্রস্তাবে ২৮টি দল ও জোট সমর্থন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি অপসারণের নির্দেশ
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তনের প্রস্তাব এসেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে একজন রাষ্ট্রপতি থাকবেন, যিনি সংসদের দুই কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে নির্বাচিত হবেন। প্রার্থী হওয়ার সময় তিনি কোনো রাষ্ট্রীয়, সরকারি বা রাজনৈতিক দলের পদে থাকতে পারবেন না।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়েও উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব রয়েছে। খসড়া অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নিজ এখতিয়ার প্রয়োগ করে মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, প্রেস কাউন্সিল, আইন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হলে থাকা যাবে না দলীয় প্রধানের পদে
এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা প্রয়োগে নতুন শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। কোনো দণ্ড মওকুফ বা স্থগিত করার আগে সংশ্লিষ্ট মামলার বাদী বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পরিবারের সম্মতি নিতে হবে। এ বিষয়ে ২৯টি দল ও জোট একমত হয়েছে।
এএস