একের পর এক কারিগরি ত্রুটি, বিমানে বদলি-শাস্তি-শোকজ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ১৯শে আগস্ট ২০২৫


একের পর এক কারিগরি ত্রুটি, বিমানে বদলি-শাস্তি-শোকজ
ফাইল ছবি ।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একের পর এক ফ্লাইটে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ার ঘটনায় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন, জনবল রদবদল, শাস্তিমূলক বদলি এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা অন্যতম।


মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।


আরও পড়ুন: ঢাকার বাইরে এখনও মব জাস্টিস হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকা-আবুধাবি রুটের একটি ফ্লাইটে টয়লেটের ফ্ল্যাশ সংক্রান্ত যে ঘটনা ঘটেছিল তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সব ঘটনায় কারিগরি ত্রুটির প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে প্রতিটি ঘটনার রক্ষণাবেক্ষণ রেকর্ড ও অপারেশনাল প্রসেস পর্যালোচনা করে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে বলা হয়েছে। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।


দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের অংশ হিসেবে জনবল ব্যবস্থাপনায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে, আর অধিক কয়েকজনকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এক প্রকৌশলী কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলকভাবে বদলি এবং আরেকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।


বিমান আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের কারিগরি সমস্যা এড়াতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন আউটস্টেশনে—বিশেষ করে জেদ্দা, দুবাই, মদিনা, দাম্মাম, আবুধাবি ও শারজাহতে—অতিরিক্ত চাকা মজুত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় চাকা সংগ্রহের জন্য ক্রয়াদেশও দেওয়া হয়েছে। জেদ্দায় সাম্প্রতিক চাকা ফেটে যাওয়ার ঘটনাটিও তদন্তাধীন রয়েছে এবং এ বিষয়ে পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশনস)কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা


এদিকে, পরিচালনা পর্যায়ে তদারকি জোরদারে পরিচালক (প্রকৌশল ও ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট) ও প্রধান প্রকৌশলীরা সরাসরি নজরদারিতে রয়েছেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) থেকে রাত্রিকালীন বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ শিফট চালু করা হয়েছে।


এছাড়া বিমানের ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পূর্ণাঙ্গভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বোয়িংয়ের সঙ্গে আলোচনা করে কম্পোনেন্ট সার্ভিসেস প্রোগ্রাম (সিএসপি) তালিকা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি রিকমেন্ডেড স্পেয়ার পার্টস লিস্ট (আরএসপিএল) অনুসারে যন্ত্রাংশ মজুত নতুনভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে। প্রকৃত ব্যবহারিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে টেইলরড পার্ট প্যাকেজ (টিপিপি) ব্যবস্থাও পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে।


প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকৌশলীদের রিকারেন্ট প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে এবং নতুন অ্যাপ্রেন্টিস মেকানিক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে কারিগরি জনবল ও দক্ষতা আরও জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।


আরএক্স/