ধলেশ্বরীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও ৩ মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনার ৬ষ্ঠ দিনে তানিম, আব্দুল্লাহ ও সামসুউদ্দিন নামে আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯-এ। এখনও নিখোঁজ রয়েছে শিশু তাসফিয়া।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে প্রথমে বক্তাবলী এলাকা থেকে দুই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ১০টার দিকে সামসুউদ্দিন নামে আরও একজনের লাশ পাওয়া যায়।
এর আগে, ট্রলার ডুবির পঞ্চম দিনে রোববার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে নদীর ধর্মগঞ্জ গুদারাঘাট এলাকা থেকে আধাঘণ্টার ব্যবধানে ভাসমান অবস্থায় দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরও আগে সকালে নারী শিশুসহ আরও চারজনের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা৷
এ পর্যন্ত যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- মাদ্রাসার ছাত্র তামিম, মোয়াজ্জেম আব্দুল্লাহ, মোতালেব মিয়া, আওলাদ হোসেন, গৃহবধূ জেসমিন বেগম, তার বড় মেয়ে তাসনিম, কলেজছাত্র সাব্বির ও পোশাক কারখানার নারী শ্রমিক জোসনা বেগম। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দেড় বছরের ছোট্ট শিশু তাসফিয়া।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জনবাণীকে জানান, যেখানে ট্রলার ডুবেছে সেখান থেকে কিছুটা দূরে ভাসমান অবস্থায় সোমবার সকালে দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিখোঁজ ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। বাকী নিখোঁজ ও ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে, জানান তিনি।
এ ঘটনার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর উপজেলা ইউএনও রিফাত ফেরদৌস জনবাণীকে জানান, উদ্ধার হওয়া তামিম ও আব্দুল্লাহর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। যারা মারা গেছেন তাদের প্রত্যেককে সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, জানান ইউএনও।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে ১০ জন নিখোঁজ হন। অন্তত ৩০ যাত্রী বহনকারী ট্রলারটি এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় নদীতে। এ ঘটনায় লঞ্চের মাস্টারসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসএ/