এই সময়ে অ্যালার্জি এড়াতে যেসব খাবার বেশি খাবেন


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ২২শে আগস্ট ২০২৫


এই সময়ে অ্যালার্জি এড়াতে যেসব খাবার বেশি খাবেন
ছবি: সংগৃহীত

ঋতুচক্র অনুসারে বর্ষাকাল শেষ হলেও বৃষ্টি এখনও প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে। এসময় অ্যালার্জির সমস্যা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। বাতাসের আর্দ্রতা, সেইসঙ্গে ভেজা কাপড় এবং জুতা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল সংক্রমণের জন্য আদর্শ প্রজনন ক্ষেত্র। যা সর্দি এবং ফ্লু সৃষ্টি করতে বেশ কার্যকরি। উভয়ই হাঁপানির রোগীর জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। উচ্চ আর্দ্রতার মাত্রা হজমকে ধীর করে দেয় এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে। সঠিক খাবার খাওয়া এবং ক্ষতিকারক খাবার এড়িয়ে চলা সুস্থ থাকার জন্য জরুরি। এসময় কোন খাবারগুলো উপকারী হতে পারে, তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক-


১. স্যুপ এবং চা


চা এসময় খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। সবজি এবং ডালের স্যুপও উপকারী কারণ এগুলো শ্বাসযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া উভয় পানীয়ই পেটের জন্য উপকারী এবং হাঁপানির জন্য সেরা। তাই অ্যালার্জি দূরে রাখতে নিয়মিত এ ধরনের খাবার খেতে হবে।


২. মৌসুমি ফল


এসময়ে মৌসুমি ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং ঋতু ও তার সঙ্গে আসা রোগগুলোর জন্য আপনাকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করতে পারে। এসময় পানি সমৃদ্ধ ফল এড়িয়ে চলুন কারণ এগুলো ঠান্ডা লাগার কারণ হতে পারে।


আরও পড়ুন: "ভেজানো বাদাম কেন সুপারফুড? জেনে নিন চমকে দেওয়া উপকারিতা"


৩. তেতো খাবার


তেতো স্বাদের খাবার যেমন করলা, নিমপাতা, বথুয়া শাক, থানকুনি পাতা, ভেষজ চা ইত্যাদি বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই খাবারগুলোতে ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থও বেশি থাকে, যা একজন ব্যক্তির সুস্থ এবং শক্তিশালী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। যেহেতু ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বা অ্যালার্জিতে ভোগেন, তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এ ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি।


৪. বাটারমিল্ক এবং দই


বেশিরভাগ ডাক্তার খাবারে দুধের পরিবর্তে দই ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। দুধ সঠিকভাবে ফুটিয়ে না নিলে রোগজীবাণু থাকতে পারে, যেখানে দই এবং বাটারমিল্কে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থাকে যা হজমে সহায়তা করে।


আরও পড়ুন: যেসব রোগ হলে ডাবের পানি বিপজ্জনক, জেনে নিন এখনই!


৫. আদা এবং রসুন


প্রদাহ-বিরোধী, জীবাণুনাশক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ছাড়াও আদা এবং রসুনের অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা জ্বর এবং ঠান্ডা লাগা উপশম করতে সাহায্য করে। আদা চা গলার অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে। রসুন, যার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল/অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিভিন্ন খাবার তৈরিতে রসুন ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁচা রসুনও খাওয়া যেতে পারে।


এমএল/