জাতীয় নির্বাচনে পূর্ণ ক্ষমতা পাচ্ছে সেনাবাহিনী


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৪শে আগস্ট ২০২৫


জাতীয় নির্বাচনে পূর্ণ ক্ষমতা পাচ্ছে সেনাবাহিনী
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনসহ সব ধরনের নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে কেবল ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ নয়, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


ইসি সূত্র জানায়, সংশোধনীতে সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় যুক্ত করা হয়েছে। এতদিন শুধু পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসারকে এ তালিকায় রাখা হয়েছিল। সংশোধনীর ফলে সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর নির্ভর না করে স্বাধীনভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে পারবে।


আরও পড়ুন: জুলাই সনদ নিয়ে মতামত দিল ২৬ রাজনৈতিক দল


নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “আমরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সব নির্বাচনেই সেনাবাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী হিসেবে যুক্ত করা হবে। এতে তাদের হাতে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেসি উভয় ধরনের ক্ষমতা থাকবে।”


এর আগে ২০০১ সালের নির্বাচন সামনে রেখে আরপিওতে সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও ২০০৮ সালে তা বাদ দেওয়া হয়। ফলে তারা শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল। নতুন সংশোধনী কার্যকর হলে আর সেই সীমাবদ্ধতা থাকছে না।


আরও পড়ুন: একাত্তরের অমীমাংসিত ইতোমধ্যে দুইবার নিষ্পত্তি হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী


বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ উদ্যোগ ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনবে। সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, “এখন থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েনে সরকারের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। ইসি সরাসরি সেনা সদর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।”


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনীকে পূর্ণ ক্ষমতায় দায়িত্ব দেওয়া জরুরি। অন্যদিকে আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, সংশোধনী কার্যকর হলে সেনা সদস্যরা স্বাধীনভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে, তবে উপ-নির্বাচনে তাদের বারবার মোতায়েনের বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার।


আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানিতে সিইসির উপস্থিতিতেই হাতাহাতি


নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্থানীয় প্রশাসন বা পুলিশের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও সেনাবাহিনীর ওপর তা কার্যকর করা কঠিন। তাই এবারের নির্বাচনে তাদের সক্রিয় ভূমিকা নির্বাচন ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।


এএস