৭৩৯টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে ফিরল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩০ পিএম, ২৫শে আগস্ট ২০২৫

ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ, ১৯৮২’-এর ১১ ধারা অনুযায়ী ওষুধের মূল্য নির্ধারণে সরকারের যে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে দেশের অধিকাংশ ওষুধের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার এখন আবার সরকারের হাতে ফিরল, যা এতদিন ছিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে।
আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করেন।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৮ সালে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এই রায় দেওয়া হয়।
১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি গেজেটের মাধ্যমে ৭৩৯টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করে। তবে এক বছরের ব্যবধানে, ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা একটি সার্কুলারের মাধ্যমে ওই ক্ষমতা সীমিত করে মাত্র ১১৭টি ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখে সরকার। বাকি ওষুধগুলোর দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে।
রায়ে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডিজি ড্রাগ, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৯৯৩ সালের ওষুধের দাম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অবৈধ: হাইকোর্টের রায়
রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ পরে গণমাধ্যমকে জানান, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১১ ধারায় সরকারকে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি সার্কুলারের মাধ্যমে সেই ক্ষমতা সীমিত করে মাত্র ১১৭টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে রাখা হয়। বাকি সব ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে। এই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে এইচআরপিবি ২০১৮ সালে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে। তখন কেন ওই সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ (২৫ আগস্ট) রায় ঘোষণা করা হলো।
এসডি/