ডাকসু নির্বাচনে যে নীতিমালা লঙ্গন করলে বাতিল হতে পারে ছাত্রত্ব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৪ পিএম, ২৬শে আগস্ট ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য কঠোর নীতিমালা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মুক্তিযুদ্ধ, ধর্মীয় বা পারিবারিক পরিচয়কে কেন্দ্র করে কাউকে ছোট করার চেষ্টা করলে প্রার্থিতা বাতিলের পাশাপাশি ছাত্রত্বও হারানোর ঝুঁকি রয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ডাকসু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে কোনো ধরনের বিভাজনমূলক প্রচারণা বরদাস্ত করা হবে না। প্রমাণ পাওয়া গেলে কমিশন আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র নিরাপত্তার দায়িত্বে সেনাবাহিনী
নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীকে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে রাখা হবে। ভোটের সাত দিন আগে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া ভোটের দিন এবং তার আগের দিন মেট্রোর টিএসসি স্টেশন বন্ধ থাকবে এবং ক্যাম্পাসে বাইরের কারও প্রবেশ করা যাবে না।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। আজ থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা, যা চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রচারণার সুযোগ থাকবে, তবে ছাত্রীদের হলে রাত ১০টার মধ্যেই প্রচার শেষ করতে হবে। প্রচারে অবশ্যই কঠোর আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরেই ইকসু বাস্তবায়নের আশ্বাস উপাচার্যের
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ২১ জন প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রদলের। তারা জানিয়েছেন, ঘোষিত প্যানেলে জায়গা না পাওয়ায় দলীয় সিদ্ধান্তেই তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এদিকে বাতিল হওয়া মনোনয়ন নিয়ে আপিল করা ৩৪ জনের সব ক’টি যাচাই শেষে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্প্রতি আচরণবিধি লঙ্ঘন ও আপিল নিষ্পত্তির জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালের বৈঠকে দুই শিক্ষার্থী জুলিয়াস সিজার তালুকদার ও বায়েজিদ বোস্তামীকে ভোটার ও প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। পরদিন তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নিষিদ্ধ সংগঠনে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় প্রার্থিতা ও ভোটাধিকার বাতিল করা হয়। তবে জুলিয়াস সিজার প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে ন্যায়বিচারের আবেদন জানিয়েছেন।
এএস