চবিতে শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্য ভট্টাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষার্থীর ওপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন চবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন তারা।এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ও তাদের সাথে যুক্ত হন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি বরাবর হামলায় জড়িতদের শাস্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন।
মানববন্ধনে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় ভুক্তভোগী দিব্য ভট্টাচার্যসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বলে দিচ্ছে আমরা কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।আমরা নিরাপত্তা চাই। আমরা সবাই দূর দূরান্ত থেকে এখানে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পরিবার, আর প্রশাসন আমাদের অভিভাবক। আমরা আমাদের পরিবারের কাছে যেমন নিরাপদে ছিলাম, আশাকরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঠিক তেমন নিরাপত্তা বলয় তৈরি করবেন আমাদের জন্য। তারা আরও বলেন, ভবিষ্যতে যেন আমাদের কোন ভাইবোনের ওপর এমন হামলা না হয় সেজন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস তৈরির দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। আমরা মানববন্ধন থেকে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে হামলার শিকার ভুক্তভোগী দিব্য ভট্টাচার্য বলেন, ‘হামলার দিন আমি ডিপার্টমেন্টের ইফতার মাহফিলে আসছিলাম। সেদিন ক্যাম্পাসে কী ঘটেছিল আমি কিছুই জানতাম না। অথচ ক্যাম্পাসে আসার পথে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। ওরা বেশ কয়েকজন মিলে আমাকে বাঁশ, লাঠি, রড ও বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যারা শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলছে, আগামীকাল তারা শিক্ষকদের মারবে না, এমন নিশ্চয়তা নেই। তাই প্রশাসনের উচিত এসব সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া।
প্রসঙ্গত, ১৪ এপ্রিল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল ক্রসিং এলাকায় চবি শিক্ষার্থী আরফাত রায়হানের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশা চালকের তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে স্থানীয় দোকানদার মো.জাবেদ সহ বেশ কয়েকজন মিলে আরাফাতকে মারধর করে৷ এ ঘটনার পর শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পেলেই অতর্কিত মারধর করেন স্থানীয়রা। এসব হামলায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এসএ/