কেন্দ্রী ওলামা লীগ নেতার কাণ্ড!
প্রধান উপদেষ্টার আত্মীয়র পরিচয় দিয়ে মিটিংয়ের গোমর ফাঁস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ১৭ই আগস্ট ২০২৫

ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলম আল কাদেরীর বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে একটি গোপন বৈঠক করার অভিযোগ উঠেছে। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণকে ঘিরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, চলতি মাসের ৯ আগস্ট রাজধানীর তোপখানা রোডের ‘বৈশাখী’ রেস্তোরাঁয় এই গোপন মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (মামুন–ফিরোজ গ্রুপ) মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা তামান্না ইয়াসমীন, প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দিন এবং নবজাতীয়করণকৃত শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা ও উত্তর ইটাচাকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন।
বৈঠকের পর জাতীয়করণের অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তোলার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে।
পরবর্তীতে তামান্না ইয়াসমীনের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে বৈঠকের ছবি প্রকাশিত হলে ‘গোপন বৈঠকের’ আসল উদ্দেশ্য জনসমক্ষে আসে। ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই প্রধান উপদেষ্টার আত্মীয় পরিচয়দানকারী ইদ্রিস আলম আল কাদেরী গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে তামান্না ইয়াসমীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গোপন বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দিয়েছিলেন মো. কামাল উদ্দিন।” তবে চাঁদা তোলার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, “যদি আমরা চাঁদা তুলে থাকি, তাহলে তার প্রমাণ দেখান।”
ওলামা লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলম আল কাদেরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ খালিদ মনছুর বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ প্রথম আপনার কাছ থেকে শুনলাম। আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরএক্স/