খন্দকার মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিপাকে ঢাবির শিক্ষক নেতা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


খন্দকার মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিপাকে ঢাবির শিক্ষক নেতা

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশতাক আহমেদকে ‘শ্রদ্ধা জ্ঞাপনসূচক’ কোনো শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ করে থাকলে সেটিকে ‘নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ।

রোববার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশতাক আহমেদকে ‘শ্রদ্ধা জানিয়েছেন’ এমন বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রোববার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আমি মুজিবনগর সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তা উল্লেখ করি এবং মুজিবনগর সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। আমার বক্তব্যের এক পর্যায়ে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কুলাঙ্গার এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরবর্তীকালে জাতির সঙ্গে বিশ্বঘাতকতাকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোস্তাক আহমেদের প্রতি আমি আমার ব্যক্তিগত ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করি।

অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ বলেন, মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রণালয়গুলো কাদের মাঝে ভাগ হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে তাদের কর্মকাণ্ড ব্যাখ্যা করেছি। ইতিহাসে মোশতাকের হীন কাজের কথা উল্লেখ আছে আমি তাও উল্লেখ করেছি। ইতিহাস বিকৃত করার ইচ্ছে এবং সাহস কোনোটিই আমার নেই। যদি কোনোভাবে আমি তা করে থাকি, তা ভুলবশত হয়েছে এবং আমি এজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে যেন কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী সবার প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব প্রদানকালে সর্বদা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছি।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বক্তব্যের খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অংশটুকু এক্সপাঞ্জ করা হয়েছে। (মোশতাকের নাম) এককভাবে নয়, আরও কয়েকটা নামের সঙ্গে বোধহয় উচ্চারণ করেছিলেন। পরে একজন আলোচক তার বক্তব্যে বিষয়টি আমার দৃষ্টিতে আনেন। আমি ওই অংশটুকু এক্সপাঞ্জ করি।

এসএ/