আলোচিত সেই ৪ পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫


আলোচিত সেই ৪ পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ
ফাইল ছবি

রাজধানীর রামপুরায় আন্দোলনের সময় কার্নিশে ঝুলন্ত অবস্থায় আমির হোসেনকে গুলি ও একই ঘটনায় দুজনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চার কর্মকর্তার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।


সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।


আরও পড়ুন: মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড


অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। একইসঙ্গে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।


মামলার অপর আসামিরা হলেন খিলগাঁও জোনের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান ও সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে।


আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মামলার রায়দানকারী বিচারপতির পদত্যাগ


এর আগে, ৭ আগস্ট প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ফর্মাল চার্জ দাখিল করা হয় এবং ৩১ জুলাই তদন্ত সংস্থা আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন জমা দেয়। গত ২৫ আগস্ট পলাতক চার আসামিকে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।


মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই আন্দোলনের সময় ফুফুর বাসায় ফেরার পথে ভয়ে আমির হোসেন একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে কার্নিশে ঝুলে থাকার সময় পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। একই দিনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নাদিম ও মায়া ইসলাম, আর গুলিবিদ্ধ হয় মায়ার ছয় বছরের নাতি বাসিত খান মুসা, যিনি চিকিৎসার পরও কথা বলতে পারছেন না।


আরও পড়ুন: দুদক কর্মকর্তা শরীফের চাকরি নিয়ে ফের শঙ্কা


এ ঘটনায় দায়ী সাবেক এএসআই চঞ্চল সরকারকে এ বছরের ২৬ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে মামলার শুনানি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


এএস