গার্মেন্টস কর্মী শারমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা: রিকশা চালক রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
গার্মেন্টস কর্মী শারমিন বেগমকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিকশা চালক সুমন মালির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোশাররফ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল সকালে রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকার ৩০০ ফিট রাস্তার পাশে মাটি চাপা অবস্থায় শারমিন বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি রিকশাচালক সুমন মালিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, সুমন পেশায় একজন রিকশাচালক। ভিকটিম শারমিন খিলক্ষেতে এলাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। সুমন বেশ কিছুদিন ধরে শারমিনের গার্মেন্টস ও বাসায় আসা যাওয়ার পথে তাকে অনুসরণ করতো। তারই ধারাবাহিকতায় ১০/১২ দিন পূর্বে শারমিনের সাথে তার প্রথম পরিচয় হয়। চার-পাঁচ দিন ধরে শারমিনের সাথে মোবাইলে কথা হয়। গত ১৩ এপ্রিল ভিকটিমকে তার রিকশায় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে।
গত ১৫ এপ্রিল ঘুরাঘুরির কথা বলে ভিকটিমকে তার বাসা থেকে খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফিট এলাকায় ডেকে নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করে। ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা গোপন করতে বললে সেটা অস্বীকৃতি জানায়। ধর্ষণের ঘটনা সে নালিশ করবে বলে সুমনকে জানায়। এতে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের গলার ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রাস্তার পাশে মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ওআ/