পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের জন্য নতুন আইন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশিসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হওয়া ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট-২০২৫ অনুযায়ী, ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা অতিরিক্ত সময় সেখানে অবস্থান করতে পারবেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এসব মানুষকে আর কোনও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না। এমনকি যাদের পাসপোর্ট বা ভ্রমণ নথির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারাও এই আইনের আওতায় ছাড় পাবেন।
কারা সুবিধা পাবেন
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুরা (হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান), যারা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করেছেন।
নেপাল ও ভুটানের নাগরিকরা।
১৯৫৯ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে বিশেষ অনুমতিপত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করা তিব্বতিরা।
শাস্তির বিধান
আইনে বলা হয়েছে, বৈধ ভিসা বা পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে প্রবেশ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা হতে পারে। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অবস্থান করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ রুপি জরিমানা হতে পারে।
জরিমানার নতুন নিয়ম
- ৩০ দিন পর্যন্ত অতিরিক্ত অবস্থান: ১০ হাজার রুপি
- ৩১–৯০ দিন: ২০ হাজার রুপি
- ৯১–১৮০ দিন: ৫০ হাজার রুপি
- ১৮১ দিন–১ বছর: ১ লাখ রুপি
১ বছরের বেশি হলে প্রতি অতিরিক্ত বছরের জন্য ৫০ হাজার রুপি, তবে সর্বোচ্চ জরিমানা সীমা ৩ লাখ রুপি।
এছাড়া তিব্বতি, মঙ্গোলিয়ার বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের দীর্ঘমেয়াদি ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন জরিমানা ধরা হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫০ রুপি পর্যন্ত।
আরএক্স/