সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক: ড. ইউনূস


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৫


সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক: ড. ইউনূস
ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, বরং সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতি বা ব্লু ইকনোমি গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।


তাঁর মতে, মহেশখালী অঞ্চল শুধু একটি ফ্যাসিলিটেশন জোন নয়, বরং একটি নতুন শহরের জন্মভূমি হবে, যেখান থেকে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের নতুন দ্বার খুলবে।


তিনি বলেন, “সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।”


আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপে বসবে এনবিআর


মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতে এসব কথা বলেন তিনি।


গভীর সমুদ্র নিয়ে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এ বিষয়ে এখনও পূর্ণাঙ্গভাবে প্রবেশ করতে পারেনি। এজন্য আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রের পাশাপাশি নিজস্ব গবেষণাও জরুরি।


আরও পড়ুন: সব রেকর্ড ভেঙে আকাশছোঁয়া উচ্চতায় সোনার দাম


তিনি আরও জানান, এ লক্ষ্যে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও একাডেমিক কাঠামো তৈরি করতে হবে এবং ওশান ইকনোমি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা দরকার।


মহেশখালী অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ ক্ষেত্রে বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিও সমান গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। বনভূমির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা জরুরি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।


আরও পড়ুন: আরও বাড়ল দেশের রিজার্ভ


বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুণ, সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না।


এ সময় মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন মিডার চেয়ারম্যান। তিনি জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে- প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ সালের মধ্যে। প্রকল্প সম্পন্ন হলে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং দেশের জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।


এএস