গোপালগঞ্জপন্থী দ্বন্দ্ব আড়াল রাখতেই দ্বিতীয় দফায় আইজিপি হন মামুন


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৫


গোপালগঞ্জপন্থী দ্বন্দ্ব আড়াল রাখতেই দ্বিতীয় দফায় আইজিপি হন মামুন
ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ বাহিনীর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক সমীকরণের কারণে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার চুক্তিভিত্তিকভাবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদে নিয়োগ পান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এমনকি পুনর্নিয়োগের প্রস্তাবে অনাগ্রহ প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে এ পদে রাখা হয়।


বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জেরায় এ তথ্য জানান সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন প্যানেলে তিনি এসব বক্তব্য দেন।


আরও পড়ুন: আপিল বিভাগের রায়ে ন্যায়বিচার মিলেছে: ব্যারিস্টার কায়সার কামাল


এর আগে ২ সেপ্টেম্বর তিনি ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, জুলাই অভ্যুত্থানকালে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে নেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশনা এসেছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে।


জেরার সময় মামুন বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে পুলিশকে ব্যবহার করে আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। জেলা প্রশাসন, ডিসি, ইউএনও, এসিল্যান্ডসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন।


আরও পড়ুন: বিদেশ যেতে পারবেন না জি এম কাদের ও তার স্ত্রী


তিনি আরও জানান, নির্বাচন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখা পুলিশ কর্মকর্তাদের পরবর্তীতে পদক ও পুরস্কারের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হতো।


পুলিশে রাজনৈতিক প্রভাবের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “২০১৮ সালের পর থেকে বাহিনীতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বেড়ে যায়। কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তা নিয়মিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় মিটিং করতেন, যা চেইন অব কমান্ডকে দুর্বল করেছিল। আমি এসব মিটিংয়ে যেতাম না এবং অন্যদেরও নিষেধ করেছিলাম।”


আরও পড়ুন: তারেক রহমান-বাবরসহ সব আসামির খালাস বহাল রাখল আপিল বিভাগ


তিনি আরও যোগ করেন, সততা ও অভিজ্ঞতার কারণে তাকে আইজিপি করা হলেও গোপালগঞ্জপন্থী দ্বন্দ্ব আড়াল রাখতেই দ্বিতীয়বার এক্সটেনশন দেওয়া হয়েছিল। যদিও তিনি মুখ্য সচিবকে অনাগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।


এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৬ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।


এএস