নবী প্রেরণের মাধ্যমে মানুষের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন আল্লাহ তায়ালা
ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

নবী-রাসুলগণ সমগ্র সৃষ্টির মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। গোটা মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে এনেছেন। তাদের কাছে মহান আল্লাহর ঐশ্বরিক বাণী পৌঁছিয়েছেন। তাদের মাধ্যমেই মানুষ মূলত আল্লাহর পরিচয় ও তাঁর বিধানের সন্ধান পেয়েছে।
নবী-রাসুলদেরকে হেদায়েতের বার্তাবাহক বানিয়ে আল্লাহ তায়ালা মূলত মানুষের ওপর অনুগ্রহ করেছেন। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে—
‘আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন যে তিঁনি তাদের নিজেদের মধ্যে থেকে তাদের কাছে রাসুল প্রেরণ করেছেন, যে তাঁর আয়াতগুলো তাদের কাছে তিলাওয়াত করে, তাদেরকে পরিশোধন করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা আগে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিল।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৬৪)
আরও পড়ুন: গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধির আমল করবেন যেভাবে
আল্লাহ তায়ালা যত নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন সবাই মানবজাতির জন্য অনুগ্রহ। তবে সব থেকে বড় অনুগ্রহ হলো আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা তাকে পুরে বিশ্বের জন্য হেদায়েত বলে গণ্য করেছেন। বর্ণিত হয়েছে—
‘আমি তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে পুরো বিশ্বের জন্য হেদায়েত বলার কারণ হলো—
আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে ইসলামচর্চার সূচনা করেছিলেন, যা যুগে যুগে নবী-রাসুলদের মাধ্যমে পূর্ণতা লাভ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: বিপদে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে না পারলে যে ক্ষতি
আল্লাহর দ্বিন হিসেবে তা চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছায় মহানবী (সা.)-এর মাধ্যমে। আর দ্বিনে পূর্ণতা মানবজাতির জন্য মহানুগ্রহ।
আল্লাহ বলেছেন, ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিন পূর্ণাঙ্গ করলাম। তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বিন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৩)
এমএল/