যে সব ব্যক্তির দোয়া কখনো কবুল হয় না, জেনে নিন
ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

মহান আল্লাহ তায়ালা দয়াময়, করুণাময়। বান্দার ডাকে তিঁনি সাড়া দেন। তবে কুরআন-হাদিসে এমন কিছু শর্তের কথা উল্লেখ রয়েছে, যেগুলো পূরণ না হলে দোয়া কবুল হয় না। নবী করিম (সা.) বলেছেন, দোয়া সব ইবাদতের মূল। তাই দোয়া কবুলের জন্য মনোযোগ, হালাল উপার্জন ও সঠিক আমল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যায় জানা যায়, এমন পাঁচ শ্রেণির মানুষের দোয়া কখনোই কবুল হয় না।
নিরাশ হওয়া ব্যক্তি: যে ব্যক্তি দোয়ার পর হতাশ হয়ে যায়, তার দোয়াও কবুল হয় না। নবীজি (সা.) বলেছেন, তোমাদের দোয়া কবুল হয়, যদি না সে তাড়াহুড়ো করে আর বলে আমি দোয়া করলাম, কিন্তু তো কবুল হলো না। (বোখারি : ৬৩৪০)
আরও পড়ুন: চন্দ্রগ্রহণের সময় মুসলমানদের করণীয়, ইসলাম যা বলে
হারাম খাওয়া ব্যক্তি: হাদিসে এসেছে, হারাম খাবার, পানীয় ও পোশাক দোয়া কবুলের অন্তরায়। নবীজি (সা.) সাদ (রা.)-কে বলেছিলেন, তুমি খাদ্য পবিত্র করো, তাহলে মুস্তাজাবুদ দাওয়াত (যার দোয়া কবুল হয়) হবে। (আল মুজামুল আওসাত : ৬৪৯৫)
আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া: যারা সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ পালন করে না, তাদের দোয়া কবুল হয় না। রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা যদি অন্যায় প্রতিরোধ না করো, আল্লাহর শাস্তি আসবে, তখন দোয়া করলেও তা গ্রহণ করা হবে না। (তিরমিজি : ২১৬৯)
দোয়া করার সময় মনোযোগী না থাকা: রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা পূর্ণ আস্থা নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করো। আল্লাহ অমনোযোগী ও অসাড় মনের দোয়া কবুল করেন না। (তিরমিজি : ৩৪৭৯)
আরও পড়ুন: যথাযথ মর্যাদায় মশুরীখোলায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত
আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্টকারী: হাদিসে এসেছে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, যে আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করে, তার দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। (আত-তারগীব : ১৬৩৩)
তাই দোয়া কবুলের জন্য হালাল উপার্জন, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা, দায়িত্ব পালন এবং একান্ত মনোযোগ অপরিহার্য।
এমএল/