নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ হোক ঈদযাত্রা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ হোক ঈদযাত্রা

দীর্ঘ এক মাস সংযম সাধনার পর বছর ঘুরে ঈদুল ফিতর আবার এলো ভিন্ন আবহে।আসন্ন পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ জেলা শহরের কর্মজীবী মানুষ গুলো সরকারি যানবাহনের  নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে নানা দুর্ভোগ পেরিয়ে নাড়ীর টানে ছুটে যাচ্ছেন আপন নীড়ে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদের আন্দন উপভোগ করতে।দূর পাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকলেও ভেঙে ভেঙে গাড়িতে পাড়ি জমিয়ে  জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুঁটে যাচ্ছেন পারিবারিক সদস্যদের ভালোবাসার টানে। ঈদের সুখ ভাগাভাগি করতে।

ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে প্রতিবছরই থাকে নানা বিড়ম্বনা। আর এ দুর্ভোগের সবচেয়ে বড় কারণ হলো টিকিটের দুষ্প্রাপ্যতা। মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা করে টিকিটের জন্য। কেউ পায় কেউ পায় না। যাত্রীদের বাস, রেল, লঞ্চ সর্বত্র চলছে টিকিট কালোবাজারির ত্রাস। টিকিটের জন্য সর্বত্র এখন যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধের জন্য ভোর থেকে লাইন দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না সেই বহু কাঙ্ক্ষিত টিকিট। ব্যর্থ হয়েই অনেকে ফিরে আসে। এবারের ঈদে পূর্বের সেই পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেটাই সবার প্রত্যাশা। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে অনেককে ঢাকায় বসবাস করতে হয়, যাদের সবারই কোনো না কোনো গ্রামে বা মফস্বল শহরে রয়েছে স্থায়ী বাড়ি। ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে তারা ঈদের আনন্দ উপভোগ করবে-এটাই স্বাভাবিক। এই অদম্য বাসনা যেখানে সুরের ধারায় প্রবাহিত হওয়ার কথা, সেখানে মন থাকে সার্বক্ষণিক আতঙ্কে! বাড়িতে আসলেই সুস্থভাবে, নিরাপদভাবে যাওয়া সম্ভব হবে কি না? ছয় ঘণ্টার পথ কত ঘণ্টায় শেষ হবে? এ রকম অসংখ্য প্রশ্ন ভিড় করে মনে। তবু আশা থাকে, যেভাবেই হোক যেতেই হবে। এই হলো ঘরমুখো মানুষের ঈদে ফেরার বাস্তবতা।

প্রতি ঈদে নাড়ির টানে মানুষ বাড়ি ফেরে; ছুটে যায় নিজ বাড়িতে পরিবার-পরিজনের সান্নিধ্যে। কারণ বছর শেষে আনন্দের দিনটি সবাই একসঙ্গে ভাগাভাগি করে নেবে। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষেও পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে মানুষ ছুটছে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে। কিন্তু শিকড়গামী মানুষের উদ্বিগ্ন মনে আশার সঞ্চার করতে এগিয়ে আসতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। আমাদের দেশের সড়কগুলো যেন হয়ে উঠছে এক একটি মৃত্যু ফাঁদ। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনার খবর আমরা পাচ্ছি। যত দিন যাচ্ছে আহত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হলো সড়কপথ। অধিকাংশ মানুষ সড়কপথেই যাতায়াত করতে পছন্দ করেন। অবশ্য তাদের কাছে দ্বিতীয় কোনো পছন্দও নেই বলা চলে! বর্তমানে পবিত্র রমজান মাস চলছে। আর ক’দিন পর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশ। তাই একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ আসে খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে। কর্মের তাগিদে বড় বড় শহর গুলোতে মানুষের বাস বেশি। বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।যেখানে লোক সমাগম অন্য জেলা থেকে অনেক বেশি। ঢাকাই হচ্ছে মানুষের প্রাণ কেন্দ্র। তাই ঢাকাকে ঘিরে লাখো মানুষের কর্ম জড়িত। এতে ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরেফেরার মানুষের ঢল নামে সড়ক, নৌ ও রেলপথে। এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদে প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে ছুটি পেয়ে নারীর টানে বাড়ি ফিরতে সকলে দৌড় আসে নিজ বাড়িতে। এদিকে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, অপর্যাপ্ত যানবাহন ও অদক্ষ গাড়িচালকের কারণে প্রতিবছর শুধু ঈদকে কেন্দ্র করে রেকর্ড সংখ্যাক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। যার দায় এড়িয়ে যান সবাই। বাংলাদেশে নৌপথে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ও লাখ লাখ টন পণ্য পরিবহন হলেও আজো গড়ে ওঠেনি আধুনিক নৌপরিবহন ব্যবস্থা। 

কিন্ত মুনাফার আশায় কোনো কোনো অসাধু মালিক নিজের চেষ্টায় রাজনীতিবিদ এবং সরকারের কিছু উচ্চপর্যায় অসাধু লোকের যোগসাজশে বিভিন্ন রুটে কিছু বিলাসবহুল লঞ্চ সার্ভিস চালু করলেও স্বাধীনতাপরবর্তী ৪০ বছরে প্রণীত হয়নি নৌপরিবহন নীতিমালা। এ কারণে সরকারি উদ্যোগে যাত্রীসেবার মান বাড়ানো কিংবা নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কার্যকর ব্যবস্থা নেই।নৌযাত্রীদের জন্য এখনো চালু হয়নি দুর্ঘটনার ঝুঁকি কিংবা মৃত্যুবীমা। অন্যদিকে সরকারের অদূরদর্শিতা ও উদাসীনতার সুযোগে দেশের প্রায় সব রুটেই বিপুলসংখ্যক ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন লঞ্চ চলাচল করছে। সারাদেশে প্রায় ২০ হাজার নৌযান চলাচল করলেও বেআইনিভাবে চলাচলরত নৌযানের সংখ্যা অন্তত ৮ থেকে সাড়ে ৮ হাজার। ফলে নৌরুটে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বিশেষ করে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীরা বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। বিগত বছরগুলোতে অনেকবার নৌরুট এবং সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের আশা, আকাক্সক্ষা ও সাধ পূরণে যদি তাদের যাত্রাপথকে নিরাপদ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে হয়তো এমন বুকফাটা কান্না, লাশের মিছিল এবং স্বজনদের আহাজারি আমাদের দেখতে হতো না। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আসলে যার স্বজন চলে যায় তিনিই কেবল হারানোর যন্ত্রণা কী তা উপলব্ধি করতে পারেন। সত্যি কথা বলতে কি, নিরাপত্তা বিধানে যারা যে অবস্থানে আছেন তারা তাদের সঠিক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট নন বলেই এত দুর্ঘটনা। আমাদের সব ক্ষেত্রে দায়িত্বে গাফিলতির ভাব থেকেই যাচ্ছে। সরকারের একার পক্ষে কোনো কিছুই মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। নিজ নিজ দায়িত্ব বোধ থেকে আমাদের এসব দুর্ঘটনা রোধে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসা উচিত।

অথচ মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর, অন্যটি ঈদুল আজহা। এ দুই উৎসবে রাজধানী ও অন্যান্য শহর থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ নাড়ির টানে পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে।আসন্ন ঈদুল ফিতরেও এর ব্যতিক্রম হবে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রতি বছর ঈদ উৎসবের আগমুহূর্ত থেকেই ঘরমুখী মানুষের মনে নিরানন্দের সুর ধ্বনিত হতে দেখা যায়। টিকিট কালোবাজারি, যানজট, ছিনতাই-ডাকাতি ও চাঁদাবাজি, জাল নোট, সড়ক ও লঞ্চপথে দুর্ঘটনা এবং শ্রমিক অসন্তোষের কারণে রাস্তা অবরোধসহ বিভিন্ন ঘটনায় জনদুর্ভোগ চরমে ওঠে।অতীতের ঘটনা থেকে প্রমাণিত- দেশের কোনো পথই ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রার জন্য স্বস্তিদায়ক নয়। সড়কপথ, নৌপথ, রেলপথ- ঈদের আগে কোথাও স্বস্তির কোনো চিত্র পরিলক্ষিত হয় না।নির্ঝঞ্ঝাট ও নিরাপদ ভ্রমণের প্রত্যাশা নিয়ে মানুষ টিকিটের জন্য বাস, লঞ্চ ও রেলস্টেশনে ভিড় জমায়। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও কাক্সিক্ষত গন্তব্যের টিকিট পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়ে। মূলত অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য অবৈধ পন্থায় টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এ সময় মানুষকে উচ্চমূল্যে টিকিট কিনতে বাধ্য করা হয়। ঈদের আগে এ ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থা মোটেই কাম্য নয়।

মানুষই তো মানবিক হবে। মানুষই তো সব ভেদাভেদ দূর করে মানবিক সমাজ গড়বে। মানবিকতা, সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ়করণের যেসব পথ সব ধর্মই দেখিয়ে দিয়েছে, তা কি সবক্ষেত্রে অনুসৃত হচ্ছে? যদি এই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ সূচক হতো, তা হলে ঈদ উৎসবের সর্বজনীনতার আলোয় সমাজ আরও অন্যরকমভাবে আলোকিত হতো। আমরা চাই- জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সব উৎসবে শরিক হোক সমাজের সব মানুষ। করোনাকালে ঈদ উৎসবে আমাদের সব আয়োজনই হোক নিরাপদ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করে। 

কিন্ত সবকিছুই সরকার করে দেবে, সব নেতিবাচকতার দায়ই সরকারের ওপর বর্তাবে, তা কেন? বিশ্বাস করি, মানুষ তার উদ্ভাবনী শক্তি দিয়েই একদিন করোনার জীবাণুকণা নির্মূলে সক্ষম হবে। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা নিশ্চয়ই সেই পথ তৈরি করবে। কিন্তু যতক্ষণ তা না হয়, ততক্ষণ আমরা যেন প্রতিরোধের সব ব্যবস্থা মেনে চলি। প্রায় গোটা বিশ্বে গত এক বছরেরও বেশি সময়ে বিষাদের যে ছায়া বিস্তৃত হয়েছে, এর ব্যাখ্যা-বিশ্নেষণ নিষ্প্রয়োজন মানবজাতি চলছে ভয়াবহ ক্ষয়ের মধ্য দিয়ে। জীবনের ক্ষয়, জীবিকার ক্ষয় আর এ থেকে সৃষ্ট আরও কত ক্ষয়। ক্রান্তিকালে কত বেদনাবিধুর পরিস্থিতিরই সৃষ্টি হয় ক্ষণে ক্ষণে। হচ্ছে তো তা-ই। আজ যার সঙ্গে কথা হচ্ছে কাল তাকে পাব কিনা সেই শঙ্কা এখন সর্বক্ষণ তাড়া করে। মৃত্যু অনিবার্য, এটা চিরন্তন সত্য বটে। কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যু তো মেনে নেওয়া কঠিন। তাই একটা কথাই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আমলে রাখতে হবে। ঈদ উৎসব উদযাপনে আতিশয্যে নয়; বরং বিদ্যমান পরিস্থিতি সামনে রেখে সহমর্মিতা, মানবিকতা, ভালোবাসা, সম্প্রীতির বন্ধনে মানবিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করব। এই হোক প্রত্যয়। ঈদ আবার আসবে। ততদিনে নিশ্চয়ই করোনামুক্ত মানবতা আবার ফিরে আসবে স্বাভাবিকভাবে। আমরা যেন ভুলে না যাই মানবতার ইতিহাসে বিপর্যয় নতুন নয়। শুধু প্রকৃতিকে দোষ দেব কেন, মানুষ কি মানুষকে নিধন করছে না হীনস্বার্থের বশবর্তী হয়ে।অতীতে আমাদের উপর দিয়ে চলে গেছে অনেক দুর্যোগ ও বিপদ। এ বিপদে ধৈর্য্য হারা হলে চলবে না। এক মাস সিয়াম সাধনার পরে আমরা নিজেদেরকে পাপ ও পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করেছি। আমরা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হয়েছি। মহান সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করে তাঁর প্রিয়জন হয়েছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস মহান প্রভু আমাদেরকে করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ করবেন। অগামীর ঈদ আমাদের কাছে আনন্দ ও সুখের বার্তা নিয়ে ফিরে আসবে। 

এবার ঈদে আমরা তেমন মহা আনন্দ চায় না। চায় নিজেদের সুস্থ ও নিরাপদ থাকা। আর এ সুস্থতা ও নিরাপদ থাকায় আমাদের এবারের ঈদ আনন্দ।মানুষ মানুষের পরম মিত্র হোক। এও কথা আছে, আজকের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি মানুষই সৃষ্টি করেছে। আমাদের যে সামাজিক ঐক্য ও উৎসবের গৌরব হারানোর মুখোমুখি,এই গৌরব পুনরুদ্ধার করতে হলে গোটা মানব সভ্যতার পুনর্জাগরণ জরুরি, খুব জরুরি।যে কোনো উৎসবের অন্যতম দিক হচ্ছে সৌহার্দ্য-সম্প্রতি-মৈত্রীর সেতুবন্ধ আরও পোক্ত করা। উৎসব আমাদের সেই পথই তৈরি করে দেয়। উৎসব মানেই তো মানুষে মানুষে মিলনমেলা। এই দুর্যোগকালে কামনা করি, মানুষের হৃদয়ে মানুষের ছায়াই যেন বিরাজমান থাকে, উৎসব যেন প্রকৃতই মানবিক আবেগের আনন্দঘন যে সর্বজনীন আবেদন, তা আরও ছড়িয়ে দেয় সর্বত্র। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, সব ক্ষেত্রেই মানবিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার ব্যাপক বিস্তার ঘটুক। আলো আসুক আঁধার কেটে। সত্য, সুন্দর শুভবোধের আপন চেতনা হোক প্রসারিত। জয় হোক মানুষের। দূর হোক অন্ধকার। নির্মূল হোক সব নেতিবাচকতা। উৎসব রূপ পাক সর্বজনীনতার।মানুষ যাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্বিঘ্নে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন, এটাই প্রত্যাশা। সবার জন্য ঈদ হোক আনন্দের। ঈদ মোবারক। 

লেখক: রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট। 

এসএ/