সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো ডা. সাবরিনা দম্পতি মামলায়
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ঢাকার সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করেন আদালত। আগামী ১১ মে (ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৩৪২ ধারায়) পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তারিখ ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এতথ্য জানান। এ নিয়ে মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
মামলা অন্য আসামিরা হলেন- ডা. সাবরিনার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, জালিয়াত চক্রের হোতা হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস। ৮ জনই কারাগারে রয়েছেন। সাক্ষ্য গ্রহণকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন একই আদালত। গত ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়।
ওআ/