কিশোরগঞ্জে আগাম বন্যায় তলিয়ে গেছে ৭৫০ হেক্টর জমির ধান
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কিশোরগঞ্জের ৭৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইটনা উপজেলা। শুধু এ উপজেলাতেই তলিয়ে গেছে ৩৭০ হেক্টর জমির ফসল। ইটনা উপজেলার আফাইন্নের হাওর, চাচুয়া, নলুয়া, আলালের বন, আড়ালিয়ার হাওর, শিমুতখালিসহ বেশ কয়েকটি হাওরের ফসলের প্রায় ৩৭০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ইটনা উপজেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ধনপুর ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি হাওরের ফসল প্লাবিত হয়েছে।
ইটনা সদর ইউনিয়নের কৃষক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, উজানের ঢলের পানি নেমে আসার পর থেকে আতংকে সময় পার করছেন তারা। তিনি বলেন, জিওলের বাঁধেও পানি ছুঁইছুই অবস্থায় আছে। আর যদি আধ হাত পানি বাড়ে তবে এ বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে হাওরে প্রবেশ করবে। এতে জিওলের হাওরের প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
ইটনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উজ্জ্বল সাহা বলেন, এ উপজেলার মূল হাওরগুলো এখনও সুরক্ষিত আছে। তবে পানি বাড়লে এ হাওরের ফসল তলিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ইটনার প্রায় অর্ধেক জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে ফসল কাটা শেষ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
মিঠামইন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, মিঠামইনে এখন পর্যন্ত ৪০ হেক্টর নিচু জমির ধান তলিয়ে গেছে। তবে মূল হাওরগুলো এখনও সুরক্ষিত রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম জানান, হাওরের বাঁধগুলো এখন পর্যন্ত অরক্ষিত রয়েছে। তবে যে পরিমাণ বাজেট পাওয়া যায়, সেই বাজেটে পুরো হাওর প্রটেক্ট করা সম্ভব নয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ছাইফুল আলম জানান, আগাম বন্যায় জেলায় ৭৫০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো জেলায় এখন পর্যন্ত ৫৩ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, বাকি জমির ধান কাটা শেষ করতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন, আমরা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। ৮০ শতাংশ পেকে গেছে এমন জমির ধান কেটে ফেলার জন্য কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি।
এসএ/