অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর ওয়ারী থানায় করা অর্থপাচার মামলায় বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া এনু ও রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে চার কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- জয় গোপাল সরকার, মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন আছেন জামিনে। আর অন্য ছয় আসামি কারাগারে।
এর আগে রায় ঘোষণার জন্য গত ৬ এপ্রিল দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক ইকবাল হোসেন ছুটিতে থাকায় সেদিন রায় হয়নি। পরে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল রায় ঘোষণার জন্য ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
এনু রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। আর রুপন ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক। ঘটনার পর তাদের বহিষ্কার করা হয়।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো খেলা পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বাসায় ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত টাকা উদ্ধারের জন্য ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রীটের বাড়ি ঘেরাও করে র্র্যাব। কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো মতে ৪র্থ তলার বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র্র্যাব। এ ঘটনায় র্র্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা জেনে-বুঝে অবৈধ প্রক্রিয়ায় উপার্জিত অর্থ আড়াল করার জন্য গোপনে কালামের কাছে রাখে। কালাম তা গ্রহণ করে নিজের কাছে রাখে। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অপরাধ।
মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ওআ/