অবৈধ্য সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার, স্ত্রীসহ সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


অবৈধ্য সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার, স্ত্রীসহ সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা

জয়পুরহাট জেলা আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র মো. গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর (অবসর) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ায় সাবেক এই পৌর মেয়র ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরফি সাদেক।

এর আগে গত সপ্তাহে কমিশন বরাবর অভিযোগ দাখিল সাপেক্ষে মামলার বিষয়ে দুদকরে সহকারী পরিচালক নূর আলম মামলার জন্য আবেদন করলে মামলা দুটির অনুমোদন করে কমিশন।

একটি মামলায় অভিযুক্ত আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে তিনি এক লাখ ৬৫ হাজার ৮২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। এছাড়া তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৯৯ লাখ ১০ হাজার ৭৯৪ টাকা অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক।

আর মাহফুজের স্ত্রী কামরুন্নাহার শিমুলের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কামরুন্নাহারের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৬ লাখ সাত হাজার ১৬৪ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক। এছাড়া তিনি দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে এক লাখ ৬৫ হাজার ৮২১ টাকার তথ্য গোপন করেন।

কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন করে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন ঘোষণা দেন এবং অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়।

মামলার বিষয়ে গোলাম মাহফুজ বলেন, ‘আমি এখন ঢাকায় আছি। জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমার নামে এ ধরনের কাজ এক ধরনের ষড়যন্ত্র। প্রায় চার বছর আগে বেনামী একটি চিঠি দেয়া হয়েছিল দুদকের কাছে। ওই অভিযোগ দিয়েই এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জয়পুরহাটে ও সাভারে আমার ফ্ল্যাট আছে। সেগুলোর হিসাব দুদককে দিয়েছি। আমি ব্যবসায়ী, সাবেক মেয়র। আমার স্ত্রী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করেছেন। এতটুকু থাকা স্বাভাবিক।’

দুদকের সহকারী পরিচালক নূর আলম জানান, ‘গোলাম মাহফুজ ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহারের নামে জয়পুরহাটে একটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে। মূলত এই ভবনের আর্থিক মূল্য তারা গোপন করেছেন। জেলা গণপূর্ত দপ্তর থেকে ওই ভবনের মূল্যায়ন করে তার আর্থিক হিসাব বের করা হয়েছে।প্রাথমিক তদন্তে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও গোপন করার তথ্য উঠে আসায় দুদক আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুজনের নামে আলাদা দুটি মামলা করা হয়েছে।’

এসএ/