ঘিওরে অবৈধ ড্রেজারে লুট হচ্ছে বালু, প্রশাসন নিরব


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ঘিওরে অবৈধ ড্রেজারে লুট হচ্ছে বালু, প্রশাসন নিরব

মানিকগঞ্জের ঘিওরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু মাটি লুট করে নিচ্ছে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা। প্রায় ২০টি পয়েন্টে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। আর এসব বালু মোটা অংকের বিনিময়ে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অথচ স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোন মাথা ব্যথা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘিওরের কালীগঙ্গা নদীতে বিআইডব্লিটিএ”র অধীনে খনন কাজ করা হচ্ছে। এসুযোগে বালু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করে যাচ্ছে।

অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা কারণে নদী রক্ষা বাধ ,বসতবাড়ি,ফসলি জমি হুমকিতে রয়েছে। ঘিওর কালীগঙ্গা নদীর বৈলট,ঘিওর পূর্বপাড়া,ঘিওর কলেজের পিছনে, ভাতন্দ্র,শ্রীধরনগর ঠাকুর বাড়ির সামনে, বরুরিয়া অনন্ত পাগলের আস্তানার সামনে, ঠাকুরকান্দি ও তরাসহ প্রায় বিশ পয়েন্টে আমিরুল ইসলাম অভি, রেজা মন্ডল, আমিনুর,বাতেন,ইকবাল,বক্কর, চুন্নু, শুকুর আলী,হাসেম,আলীম,আওয়াল,সোহাগ বাবু নামের এসব বালু ব্যবসায়ীরা ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে  বালু ব্যবসা  চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্বে মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসন লোক দেখানো অভিযান করলেও বন্ধ হচ্ছে না এদের অবৈধ বালু ব্যবসা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বালু ব্যবসায়ী জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ঘিওরে ড্রেজার চলে। যারা এ নিয়ম না মানে তাদের ড্রেজারে প্রশাসন অভিযান চালায়। গত কয়েকদিন আগে বৈলট এলাকায় একই স্থানে ২টি ড্রেজার চললেও স্থানীয় প্রশাসন একটি বন্ধ করে দেন আবার পয়লা ইউনিয়নে শ্রীধরনগর ও ভাতেন্দ্র ২ টি ড্রেজার চললেও বাঙ্গালা গ্রামে বন্ধ ড্রেজারের উপর অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কমিশনার (ভূমি) মো: মোহছেন । ম্যানেচ হওয়া অবৈধ ডেজার এখনো চলমান। এই হলো ঘিওরে চিত্র।

ড্রেজার ব্যবসায়ী চুন্নু মিয়া বলেন, বর্তমানে আমার একটা ড্রেজার চলছে। সরাসরি আমি নিয়ন্ত্রন করি না। আমার ড্রেজার শুকুরের নিয়ন্ত্রনে চালাই।
ঘিওর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো: মোশারফ বলেন, জানামতে আমার ইউনিয়নে বর্তমানে কোন ড্রেজার চলে না। কিছু দিন আগেই এসিল্যান্ড স্যার অভিযান করেছে। দুই একটি এখন চললে আমার জানা নেই।

এবিষয়ে ঘিওর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোহছেন উদ্দিন বলেন, আমি এখন তরা এরাকায় অভিযানে আছি। যেখানে অবৈধ ডেজার চলবে সেখানেই অভিযান চলবে।

এব্যাপারে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমানের সরকারি মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।

এসএ/