শান্তিগঞ্জে ভয়াবহ আগুন, দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


শান্তিগঞ্জে ভয়াবহ আগুন, দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে বসত ঘরে আগুন লেগে ৩টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে ক্ষতির স্বীকার হওয়া চার পরিবার। অগ্নিকাণ্ডে মৃত রামলাল রবি দাসের ছেলে মুনি রবি দাস (৪৫), লিলু রবি দাস (৩০), সন্তু রবি দাস (২৮) ও গেনু রবি দাস (২৪)’র বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ইউনিয়নের বীরগাঁও বাজার সংলগ্ন বাবনগাঁও (নয়া বাবনগাঁও) গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

গেনু রবি দাস জানান, আমরা চার ভাই একচালা টিনের ঘরে পৃথক ভাবে বসবাস করি। আমাদের কোনো জায়গা জমি নেই। বীরগাঁও বাজারের পাশে সরকারি খাস জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। জায়গা কম হওয়া একচালা ঘরে চার রুমে আমরা চার ভাই আলালা আলাদা ভাবে বসবাস করি। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে ঘুম ভাঙে আমাদের। পড়নে যা কাপড় ছিলো তা নিয়ে জীবন বাঁচাতে বাচ্ছাদের নিয়ে দৌঁড়ে ঘর হতে বের হই। কিছুই বের করতে পারিনি। আসবাবপত্র, হাঁস-মরগি, চার ভাইয়ের ১শ মনের বেশি ধান, নগদ টাকা, অলঙ্কারসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমাদের। আমরা একেবারেই শেষ। সরকারি সহযোগিতা ছাড়া আমাদের আর ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো পথ রইলো না।

পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূর কালাম বলেন, আমার বাড়ির পাশেই তাদের বাড়ি। আগুন দেখে দৌঁড়ে আসি আমরা সবাই। গ্রামবাসীদের নিয়ে দুই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি আমরা। ততক্ষণে সব শেষ। এরা খুব দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। সকলকে সহযোগিতা করার আহ্বান করছি।

পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রাইজুল বলেন, আমি খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ভাবে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। ইউএনও স্যারের মাধ্যমে চার পরিবারকে এক মাসের চাল দিয়েছি। তাঁর সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন সব ধরণের সহযোগিতা করবেন৷ আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে আছি।

শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার আবদুল হান্নান বলেন, রাতে খবর পেয়ে পাগলা পর্যন্ত যাওয়ার পর সংবাদ দাতা জানিয়েছেন আগুন গ্রামবাসী নিভিয়ে ফেলেছেন। তাছাড়া বীরগাঁও যাওয়াও খুব কঠিন। নদী পেড়িয়ে যেতে হয়।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ্ জামান বলেন, আমি খবর পেয়েছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ খবর রাখছি। তারা যদি ভূমিহীন হন আর ঘর পাওয়ার মতো সব ক্যাটাগরিতে তারা পড়েন তাহলে সরকারি ঘর দেওয়া যায় কি না তা দেখবো। তাদের সহযোগিতা করবো।

এসএ/