শত্রুতার জেরে বিধবার সর্বস্ব লুট


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


শত্রুতার জেরে বিধবার সর্বস্ব লুট

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর এলাকার খতিজা বেগম(২৮) নামের এক বিধবা নারীর বসতঘরে ডুকে মৃত-স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ সম্বল চার লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণ ও আমানতকৃত ব্যাংকের চেক, লেনদেনের ষ্ট্যাম্প, মেয়েদের জন্ম নিবন্ধন, স্কুলে রেজিস্ট্রেশন কার্ডসহ বাড়ির যাবতীয় মূল্যবান সম্পদ লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার ৬ এপ্রিল রাত ২টার দিকে পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড হালকাকারা বিমান বন্দর পাড়া এলাকার মৃত- মো:হাশেমের বসতঘরে এ লুটের ঘটনা ঘটে। এদিকে সারা জীবনের সঞ্চয়, সম্পদ নিয়ে যাওয়ার সংবাদ শুনার পর অজ্ঞান হয়ে যায় ভুক্তভোগী খতিজা বেগম। পরে পাশ্ববর্তী’রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। প্রায় ১ দিন চিকিৎসা শেষে মোটামোটি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেন তিনি। এখনো বারে বারে অজ্ঞান হচ্ছেন তিনি। বিয়ষটি নিয়ে চকরিয়া থানায় খতিজা বেগম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ওই অভিযোগে লিখেছেন ও বিলাপ কন্ঠে খতিজা বলেন,আমার তিনটে মেয়ের ভবিষ্যৎ কি হবে এখন। ২৯ এপ্রিল শুক্রবার বাবার অসুস্থতার খবর শুনে দেখতে যায়,ওখানে রাত বেশী হওয়ায় বাবা আর ফিরতে দেয়নি। এই সুজুগে ওইদিন রাতে পূর্ব শক্রতার জেরধরে এলাকার বদিউল আলমের ছেলে মো:শহিদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ও লুটতরাজকারী তার বাড়ি লুট করেছে। ওই দিন আমি নিচ্ছিত তারা আমাকে হত্যা করতে এসেছিল।আমাকে না পেয়ে দরজা ও আলমিরার তালা ভেঙ্গে, চার লক্ষ ২৫ হাজার টাকা,পাঁচ ভরি স্বর্ণ ও আমানতকৃত ব্যাংকের চেক, লেনদেনের ষ্ট্যাম্প মেয়ের জন্মনিবন্ধন, স্কুলে রেজিস্ট্রেশন কার্ড সহ বাড়ির যাবতীয় মূল্যবান সম্পদ ও বাড়ির যাবতীয় মূল্যবান সম্পদ নিয়ে যায়। 

তিনি আরো জানান, বাড়ি লুটের পূর্বে অভিযুক্ত শহিদ বাড়ির দরজায় এসে উচ্চ কণ্ঠে বলতো দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার কাছে কিছুই নই।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ওইদিন সেহরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠলে দেখতে পায় বাড়ির আশপাশে কয়েকজন মানুষ মুখে গামছা পেঁচিয়ে বস্তা ভরে কিছু নিয়ে যাচ্ছে। গিয়ে দেখতে পায় বিধবা নারী খতিজার বাড়ি লুট হয়েছে। খবরটি ফোন করে খতিজাকে জানানো হয়। 

তারা আরো জানান, অভিযুক্ত যুবক শহিদ সে একজন বখাটে, সন্ত্রাসী ছেলে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে মাদক দিয়ে ফাসিয়ে দেয় এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়। এ এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো নানা অভিযোগ রয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।

এসএ/