চট্টগ্রাম বন্দরে ইচ্ছেকৃত জাহাজজট তৈরি করছে আমদানিকারকরা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
শ্রম দিবস আর ঈদ মিলে টানা আটদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (৭ মে) থেকে খুলেছে পোশাক কারখানা। উৎপাদনের প্রয়োজনে কাঁচামালের প্রয়োজন থাকলেও বন্দর থেকে আজও পণ্য খালাস করে নিয়ে যায়নি আমদানিকারকরা।
এদিকে বন্দরের বহির্নোঙরে আমদানিপণ্য ভর্তি ২০টি জাহাজ ছাড়াও লবণ, চিনি, তেল, সারসহ বিভিন্ন পণ্যভর্তি আরও ২১টি জাহাজ বহির্নোঙর খালাসের অপেক্ষায় আছে। এতে করে বন্দরের বাইরে নোঙর করা জাহাজের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমদানিকরাকরা দ্রুত পণ্যের খালাসের ব্যবস্থা না করলে জাহাজজট হবে বলে মনে করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে রোববার থেকে পণ্য খালাসের কথা জানিয়েছে আমদানিকরাকরা।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন পোশাক কারখানার আমদানি করা ২০ জাহাজ ভর্তি পণ্যের একটিও খালাস হয়নি। ফলে জাহাজগুলো সারিবদ্ধভাবে বন্দরের বহির্নোঙরে খালাসের অপেক্ষায় আছে। পোশাক পণ্যের কাঁচামাল ছাড়াও ১০টি জেনারেল কার্গো, ক্লিংকার বোঝাই ২টি, চিনি বোঝাই ২টি ও তেল বোঝাই ৭টি জাহাজ খালাসের অপেক্ষায় আছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে সবমিলিয়ে ৬৮টি পণ্য বোঝাই জাহাজ ছিল। এরমধ্যে ২৭টি জাহাজ খালাস করা হয়েছে। বাকি ৪১টি জাহাজ এখনো খালাসের অপেক্ষায় আছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, কারখানাগুলো এতদিন বন্ধ ছিল তাই তারা আমদানি পণ্যগুলো খালাস করতে পারেননি। শনিবার থেকে কারখানা খুললেও বহির্নোঙরে থাকা কনটেইনার ভর্তি ২০ জাহাজের কোনটিই খালাস করা হয়নি। আমাদের দিক থেকে কোন সমস্যা নেই। আমদানিকারকরা চাইলেই আমরা খালাসের ব্যবস্থা করতে পারবো। তারা যদি আন্তরিকতার সাথে কাজ করেন তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যেই বহির্নোঙরে অপেক্ষমান জাহাজের সংখ্যা কমে আসবে।
একই প্রসঙ্গে বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সবে মাত্র আজ পোশাক কারখানাগুলো খুলেছে। কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দিচ্ছেন। রোববার থেকেই কারখানা মালিকরা আমদানি করা কাঁচামালগুলো খালাসের ব্যবস্থা করবেন। প্রতিবছরই ঈদের সময় এমন হয়। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আশা করছি আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সব জাহাজ খালি হয়ে যাবে।’
শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজনও জানিয়েছেন একই কথা। তিনি বলেন, ‘কারখানা বন্ধ থাকায় প্রতিবছর ঈদের সময় বহির্নোঙরে জাহাজের সংখ্যা বাড়ে। আর জাহাজ আসাও তো বন্ধ রাখা যাবে না। আশা করি দু সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হবে।’
এসএ/