সাতক্ষীরায় প্রস্তুত ২৮৭ আশ্রয়কেন্দ্র, বেড়িবাঁধে ঝুঁকিতে ২৫ পয়েন্ট


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সাতক্ষীরায় প্রস্তুত ২৮৭ আশ্রয়কেন্দ্র, বেড়িবাঁধে ঝুঁকিতে ২৫ পয়েন্ট

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলায় উপকূলীয় সাতক্ষীরায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে উপকূলীয় অঞ্চলে ২৫টি পয়েন্টে উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করেছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে ঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রস্তুতি নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবিলায় জেলায় ২৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবে। এর মধ্যে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরে ১৮১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। আশাশুনি উপজেলায় ১০৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন ৫০ হাজার মানুষ। এ ছাড়া পর্যাপ্ত শুকনা খাবার মজুত রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ পর্যাপ্ত সুপেয় পানি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় ২ হাজার ৯৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া ৮৬টি মেডিকেল টিমকে প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সাতক্ষীরার হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে হালকা দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, শ্যামনগর উপকূলীয় অঞ্চলে ১৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সেগুলো সব মেরামত করা হয়েছে। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর আওতায় কোনো ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নেই। যদি ঝড়ের প্রভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়, তবে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেগুলো সংস্কার করা হবে।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, আশাশুনি ও কয়রা উপজেলার মধ্যে ৪২৬ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ নিয়ে রাখা হয়েছে। শ্রমিকদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সাতক্ষীরার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, উপকূলীয় এলাকায় বর্তমানে ২ নং সতর্কতা সংকেত অব্যাহত রয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় অশনি, যা ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত আনতে পারে।

তবে দিক পরিবর্তিত হলে সাতক্ষীরাসহ বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে। এতে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

জি আই/