ফেসবুক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাত; বাংলাদেশে ফেসবুকের কার্যালয় স্থাপনের পরামর্শ মন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি এবং তথ্য উপাত্তসহ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার উদ্দেশ্যে দেয়া উস্কানিমূলক পোস্ট অপসারণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুক কতৃপক্ষ।
ফেসবুকের (মেটা) উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার (১১ মে) রাজধানীতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আশ্বাস প্রদান করেন। ফেসবুকের তিন সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থার এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পাবলিক পলিসি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট সিমন মিলনার। প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক পাবলিক পলিসি এফেয়ার্স কর্মকর্তা সাবনাম রশীদ দিয়া এবং মিজ রোজাও।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান এবং বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তাফা জব্বার এ সময় প্রতিনিধিদলকে জানান, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা এবং নৈরাজ্য ও সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টিতে গুজব ছড়াতে ফেসবুক ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি এ বিষয়টি বিশেষভাবে দেখার জন্য ফেসবুকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আপত্তিকর উপাত্ত অপসারণ ও ব্যবহারকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশে ফেসবুকের কার্যালয় স্থাপনের পরামর্শ দেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার ফেসবুকের সাথে বার্সেলোনায় ২০১৮ সালে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বলেন, বিগত দিনগুলোতে ফেসবুকের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কের আশানুরূপ অগ্রগতি হয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এ সময় বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের সংযুক্তি প্রসারিত হয়।
ফেসবুক পৃথিবীর অনেক জায়গায় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ দিয়ে আসছে। উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশেও অনুরূপ সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ প্রদানে ফেসবুকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মন্ত্রী ফেসবুকের কমিউনিটি মানদণ্ডের বিষয়টি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিবেচনার জন্য বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
মোস্তাফা জব্বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে বিকাশমান অগ্রগতি প্রতিনিধিদলকে অবহিত করে বলেন, গত সাড়ে তের বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
এছাড়াও সাক্ষাতকালে এক বৈঠকে, ওটিপি গাইড লাইন ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচানায় উঠে আসে।
প্রতিনিধিদলের নেতা ফেসবুকের বিদ্যমান ইস্যুগুলোর বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার আশ্বাস ব্যক্ত করেন। প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্ক আরো সম্প্রসারণ, ফাইভজি চালু ও ফাইভ-জি স্পেকট্রাম নিলামসহ ডিজিটাল অবকাঠামো বিকাশে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর ভূমিকার ভুয়সী প্রশংসা করেন।
এসএ/