বিএনপি-জামাত যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনি সাংবাদিকদের অত্যাচার করেছে: নিখিল
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
বিএনপি-জামাত যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনি তারা সাংবাদিকদের ওপর নানা ধরণের অত্যাচার করেছে। তারা অসংখ্য সাংবাদিককে হত্যা করেছে। আপনারা জাতির বিবেক, সমাজের দর্পণ। এই করোনার সময় কোনো বিএনপি-জামাত নেতা সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ায় নাই, তাদের খোঁজ খবর রাখে নাই। কিন্তু আমার প্রিয় নেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সাংবাদিকসহ পুলিশ, প্রশাসন, চাকুরিজীবী সবার পাশেই ছিলেন। তাদেরকে নানাভাবে সহায়তা করেছেন। তাই সাংবাদিক ভাইদের বলবো আপনাদের লেখনীর মাধ্যমেই জাতি সঠিক তথ্য ও ইতিহাস জানতে পারবে। আপনারা সঠিক ইতিহাস তুলে ধরলে এদেশের জনগণ বিএনপি-জামাতকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।
১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১৬ মে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের আলোচনা সভা সফল করার লক্ষ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ-এর নির্দেশে বর্ধিত সভায় যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ সব কথা বলেন ।
শুক্রবার (১৩ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন-ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন-ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘এই ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আমাদের কাছে যেমন আনন্দদায়ক তেমনি বেদনাদায়কও বটে। বেদনাদায়ক এই কারণেই যে, ২০০৪ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল তারেক জিয়া। কিন্তু কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী হয়তো ইতোমধ্যেই ভুলতে বসেছেন।’
তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্নাদের মতো বুদ্ধিজীবীরাই নানাভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে খুনী জিয়া পরিবারের তুলনা করে থাকেন। বঙ্গবন্ধুর পাশে খুনী জিয়াকে বসানো যেমন অসম্ভব, তেমনি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার পাশে খালেদা জিয়াকে বসানো বেমানান, অর্থহীন। আবার শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাশে কুলাঙ্গার সন্ত্রাসী তারেক জিয়াকে মিলানোও বোকামি। কোথায় সজীব ওয়াজেদ জয়, আর কোথায় চোরা তারেক, এক হলো? এ কারণেই এদেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখান করেছে।’
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মুহা: বদিউল আলম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, নাজমুল হোসেন টুটুল, আবু সাঈদ মোল্যা, মাহাবুবুর রহমান পলাশ, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ উজ-জামান প্রমুখ।
এসএ/