"গোবর চটা"


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


"গোবর চটা"

ধর্মপাশা প্রতিনিধ: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার হাওরে হাড়াতে বসেছে মহিলাদের নিত্য দিনের রান্নার কাজে ব্যাবহৃত, গোবরের তৈরী লাকড়ী"গোবর চটা"। হাওরের পাড়ে পুরান কাল থেকে ইতিহাসের পাতায় রয়েছে দুধ,দৈ,ঘি। তার একমাত্র উৎস ছিল গবাদি পশু দুধ। এর মধ্যে অন্যতম গাভী, গাভীর দুধ থেকেই তৈরী হতো দুধ, দৈ ও ঘি'র মতো বাহারী খাবার।

গবাদি গৃহপালিতপশু গরুর মল বা বিষ্ঠা' যা গোবর হিসেবে সুপরিচিত নিত্য ব্যাবহার উপযোগী। এখন আর হাওরে তত ঘাস এখন আর দেখা যায় না। ঘাসের সংকটে গাভী এবং ষাড়(পুরুষ গরু) পালনও ধীরে ধীরে কমে গেছে। কমেছে গবাদিপশু পালন।যার দরুন গোবরের ছড়াছড়ি নেই বললেই চলে। ছড়াঞ্চলে বা জমিতে উর্ভরতা বাড়াতো গোবরে। বর্তমানে কমেছে হাওরের উর্বরতা বাড়ছে কৃত্রিম উর্ভরতার উপকরণ। বিলীন হয়েছে দুর্বা, নল, ছালিয়াবন, ঘাসবন, বিন্না, উলুবন, হুগলি, বনতুলসী সহ অসংখ্য প্রজাতি বনগাছ নামক তৃন। 

তৃণ ভক্ষণ করে জীবন ধারন করতো গবাদিপশুরা। গবাদিপশুর শুকনো গোবর দিয়ে কৃষক পরিবারের নারীরা ধান শুকানোর খলায় বা দুর্বাযুক্ত মাঠে গোবর হাতে নিয়ে তালুর মাধ্যমে মাটিতে কুড়ো অথবা ছাই ছিটিয়ে গবাদিপশুর গোবরে আঘাত করে তৈরী করতেন"গোবর চটা"। রৌদ্রে শুকিয়ে ব্যাবহার হতো পারিবারিক রান্নার কাজে লাড়কি হিসেবে"গোবর চটা"। যা দিয়ে প্রতিটি কৃষি নির্ভরশীল পরিবারের সারা বছরের লাকড়ির চাহিদা মিঠে যেতো।শস্য জমির সার হিসেবেও ব্যাবহার হতো।ডিজিটাল যমুনায় বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যাবহার বেড়ে গিয়ে হাড়ি প্রচীন খ্রিষ্ঠি।মাঝে মধ্যে এখনো হাওরে হঠাৎ দেখা মিলে সেই "গোবর চটার"।

এসএ/