আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেন সম্রাট


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেন সম্রাট

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।

মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুর ১২ টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে তিনি উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। দুপুরে আবেদনটির ওপর শুনানি হবে।

সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে সোমবার (২৩ মে) সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।

গত ১৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল দুদক। এ মামলায় গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত।
এ মামলায় জামিন পাওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে করা আরও তিনটি মামলায় তিনি জামিন পান। চারটি মামলার সবগুলোতে জামিন পাওয়ায় গত ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) প্রিজন সেল থেকে কারামুক্তি পান সম্রাট।

২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে সিআইডি। মামলায় বলা হয় সম্যাট তার কাকরাইলের বাসায় অবস্থান করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সহযোগী এনামুল হক আরমানের (৫৬) সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইয়ে দুইবার এবং হংকংয়ে একবার ভ্রমণ করেছেন। তার সহযোগী এনামুল হক আরমান এ সময়ে সিঙ্গাপুরে ২৩ বার ভ্রমণ করেছেন। আরমান সম্রাটের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

সিআইডি জানায়, রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন সম্রাট। তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক মামলা রয়েছে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে সম্রাটের নামে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) মামলা করেছে।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। পরে তাকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপর সম্রাট ও তার সহযোগীরা আত্মগোপনে চলে যান। তবে একই বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। একই সঙ্গে তার অন্যতম সহযোগী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

ওআ/