খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো যায় কিনা ভাবতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো যায় কিনা বিষয়টি এখন আবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী আয়োজন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন, অথচ খালেদা জিয়া তো প্রধানমন্ত্রীকে অনেকবার হত্যাচেষ্টা করেছেন। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাই সেটির প্রমাণ। তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন ও দেখিয়ে যাচ্ছেন, সেটি এখন অনেকে প্রশ্ন করছেন যে, যারা মহানুভবতার মূল্য দিতে জানে না, তাদের প্রতিই মহানুভবতা কেন? ফলে অনেকেই প্রশ্ন রেখেছেন, সাধারণ মানুষের অনেকেই প্রশ্ন রাখছেন, খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও দুই বছর কারাগারের বাইরে মুক্ত জীবন যাপন করছেন। এখন তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর এই মহানুভবতা গ্রহণ করতে না পারে, তবে এখন ভাবতে হবে যে, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাকে আবার কারাগারে পাঠাতে হয় কিনা!’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি ফেসবুকে দেখলাম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা সাঁতার কেটে পদ্মা নদী পার হচ্ছে। তরুণ ছেলেমেয়েরা তো অনেক ইনোভেটিভ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অবারিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে নানা জন নানা ধরনের মতামত প্রকাশ করেন। ফেসবুকে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে এই যে, অনেক মানুষ মনে করে তারা জোর বিরোধিতা করেছিল, ষড়যন্ত্র করেছিল পদ্মা সেতু নিয়ে; এ জন্য তাদের পদ্মা নদী সাঁতরে পার হওয়া উচিত। জনগণের সেই প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কিছুটা উঠে এসেছে। আপামর জনতা মনে করে, যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, ষড়যন্ত্র করেছিল, আওয়ামী লীগ সরকার পারবে না বলে আস্ফালন করেছিল, তাদের এভাবেই পার হওয়া উচিত।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা সব মানুষের জন্য পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। যারা এটার বিরোধিতা করেছিল তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আজকে তারা বিক্ষোভ করছে, খালেদা জিয়া তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অনেক অপচেষ্টা চালিয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা তার প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রী এখনও যে মহানুভবতা দেখিয়ে যাচ্ছেন, যারা এর মূল্য দিতে জানে না, তাদের প্রতি এই মহানুভবতা কেন দেখাচ্ছেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অনেক সংগঠন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনেক রিপোর্ট প্রকাশ করে। কিন্তু আপনারা খোঁজ নিলে জানবেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম যে স্বাধীনভাবে কাজ করে, গণমাধ্যমের যেভাবে বিকাশ হয়েছে, সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের অনেকগুলো সংগঠন আছে, অনেকগুলো নানা কারণে বিভক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বিভক্ত হয়নি। আশা করি, আগামী ৫০ বছর পরও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ ডিআরইউ নেতারা।
ওআ/