রক্ষক প্রকাশ্যেই ভক্ষক!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


রক্ষক প্রকাশ্যেই ভক্ষক!

নরসিংদী মরজাল চারাবাগ এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অটোচালক থেকে শুরু করে পরিবহনের চালক-মালিকেরাও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে।

এই অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা জানতে নরসিংদী রায়পুরা উপজেলা মরজাল এলাকায় চারাবাগ সিএনজি পাম্পের সামনে সংবাদ কর্মীরা অবস্থান করলে তাদের সামনে পড়ে ভৈরব হাইওয়ে থানাধীন একটি হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি। হঠাৎ সংবাদকর্মীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ক্যামেরা ধরলে তার দেখাই এখানে  মোটর সাইকেল দাড় করিয়ে কাগজ পত্র চেক করা হচ্ছে কিন্তু এটি ক্যামেরা থেকে বাঁচার একটা নাটক ছিল। তবুও মোটরসাইকেল চালক আব্দুল শাহিনের সকল কাগজ পত্র ও হেলমেট থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিতে দেখা যায়। কিছুক্ষন পর সংবাদ কর্মীদের অবস্থান জানতে পেরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা। 

শুধু তাই নয়, এই ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কিছু অসৎ পুলিশ সদস্যরা প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজি করছে মহাসড়কে। তাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গাড়ির মালিক ও চালকরা। এই চাঁদাবাজির বিষয়ে আগামী সাত ৭ পর্বে তুলে ধরা হবে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, মামলার ভয় দেখিয়ে ও কাগজপত্র দেখার নামে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ নিয়মিত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রতিদিন চাঁদা নিচ্ছে। এ ঘটনায় যানবাহনের মালিক ও চালকরা পুলিশের নিকট তাদের অসহায়ত্বের কথা বললেও হাইওয়ে পুলিশ কোনো ছাড় দেয় না। তারা তাদের চাঁদার টাকা ঠিকই আদায় করে নেয়।

জানা যায় যে, মরজাল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাউছার মিয়ার অটোরিক্সাটি জোরপূর্বক বসতবাড়ি থেকে ভৈরব থানার নিয়ে গেছেন হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা। এরপর কাউছার মিয়ার কাছে বিপুল টাকা দাবি করে পুলিশ কিন্তু অসহায় গরিব রিক্সাওয়ালার পক্ষে এতো টাকা দেওয়া সম্ভব না তারপরও সে তার স্ত্রীর সামান্য কানের দুল বন্ধক রেখে  চার হাজার টাকার ব্যবস্থা করেন। ঐ চার হাজার টাকা ভৈরব থানার হাইওয়ে পুলিশকে দিলে টাকার বিনিময়ে তার অটো রিক্সাটি ফেরত পান।

ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি নীরবে সহ্য করে যাচ্ছেন যানবাহনের মালিক-শ্রমিকরা। তারা দিন-রাত সমানতালে পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হলেও ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা।

মালিক-চালকদের অভিযোগ, টহলের নামে ভৈরব হাইওয়ের পুলিশের চাঁদাবাজি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। দূরের মালবাহী ট্রাক, ছোট পিকআপ টাকা না দিলে রেহাই নেই। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও টাকার বিনিময়ে নিয়মিত চাঁদা নিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয় হাইওয়ে পুলিশ। যারা নিয়মিত চাঁদা দেয় না তাদেরকে চরম হয়রানীর স্বীকার হতে হয়।

এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আপনারা ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি-ভিডিও আমার কছে পাঠান আমি ব্যবস্থা নিব।’

এরপর মোজাম্মেল হোসেনের কাছে ছবি পাঠানো পরও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। এই ভৈরব থানার দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিষয়ে সামনে আরোও চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে, যা পরবর্তীতে পর্বে প্রমাণসহ তুলে ধরা হবে।

এসএ/