জাল জালিয়াতি করে জাপার চেয়ারম্যান পদ দখল
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
জাতীয় পার্টির এক অংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) বিরুদ্ধে সমন জারির নোটিশ পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ঢাকা সিনিয়র সহকারী জজ মো. জুলফিকার হোসাইন এর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন।
গত ১১ এপ্রিল ঢাকা সিনিয়র সহকারী জজ মো. জুলফিকার হোসেইন রনির আদালতে বাদী হয়ে দেওয়ানি মামলাটি করেন জাপার কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাফিজ মাহবুব।
মামলায় বিবাদীরা হচ্ছেন, গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) কো-চেয়ারম্যান (বর্তমান ঘোষিত চেয়ারম্যান), মহাসচিব জাতিয় পার্টি, সাংগঠনিক সম্পাদক জাতিয় পার্টি এবং মোকাবিলা বিবাদী সচিব প্রধান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
মামলা কার্যক্রমে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন- অ্যাডভোকেট মো. আলী হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. তানবির উল আলম, অ্যাডভোকেট মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ, অ্যাডভোকেট মো. শামিম মিয়া, অ্যাডভোকেট শাহিনা সুলতানা প্রমুখ।
দেওয়ানি মামলা সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সংগঠনটি পরিচালনা করার সময় বিগত ১৪.০৯.২০১৯ইং তারিখে মৃত্যু বরণ করেন। তার অবর্তমানে জি.এম কাদের জাল জালিয়াতি ও প্রতারনার মাধ্যমে বিগত ২৪.১২.২০১৮ইং তারিখে হাইকোর্টের রিট মামলা থাকার পরেও বিগত ২৮.১২.২০১৯ইং তারিখে জাতীয় কাউন্সিল করেন।
পরবর্তীতে ০৫.০৩.২০২২ইং তারিখে জাতীয় পার্টির গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রিয় সদস্যকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেন। অবৈধ ভাবে পার্টির কার্যক্রম পরিচালনা এবং পার্টির বিভিন্ন নেত্রীবৃন্দকে কোন কারন ছাড়াই বহিষ্কার করা, হাইকোর্টের রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না করে কোন অবস্থায় বহিষ্কারাদেশ কার্যকর নয় মর্মে ঘোষণা মূলক ডিক্রী পাওয়ায় এই দেওয়ানি মামলার মূল বিষয়।
কেন অবৈধ চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপির বিরুদ্বে হাইকোর্টে এ বিষয়ে রিট রয়েছে।
এ বিষয়ে জাপার কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এই মামলার বাদি নাফিজ মাহবুব এর সাথে কথা বলে জানাযায়, ‘আমরা দেওয়ানি মামলার মাধ্যমে জিএম কাদেরের সব রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত চেয়েছি। উচ্চ আদালত হাইকোর্টের রিট পিটিশনের নিষ্পত্তি না করে রাজনৈতিক বা জাতীয় পার্টির আদেশ, বহিষ্কার, মিটিং, কোনোটাই করতে পারেন না। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জেলায় প্রায় ১০ থেকে ১৫টি মামলা হয়েছে। আরও ১০ থেকে ১২টি মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
এসএ/