আনোয়ারায় বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২

এমন একটা সময় আসবে যখন মাছে ভাতে বাঙ্গালী কথাতেই প্রচলিত থাকবে কিন্তু বাস্তবে মিলবে না। গোলা ভরা ধান আর পুকুর ভরা মাছ এ সবই এখন অতীত। বিভিন্ন ডাইং, কল কারখানার বর্জ্য ও বিষাক্ত কেমিক্যাল নদী, খাল, বিল ও পুকুরের পানিতে এসে মিশে দেশীয় প্রজাতির শিং, কৈ, টেংরা, পুঁটি, মলা, মাগুর মাছসহ ইত্যাদি প্রজাতিকে বিলুপ্তির পথে নিয়ে গেছে।
পুকুরে এখন রুই, কাতল, মৃগেল, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, সরপুঁটি, মাগুর, শিং, কই, পাবদা, ইত্যাদি মাছ চাষ করা হয়। এতে করে দেশের মানুষের মাছের চাহিদা হয়তবা পূরণ হচ্ছে কিন্তু দেশীয় মাছের যে স্বাদ বা পুষ্টি তা আমরা পাচ্ছি না। আগে দেশীয় একটি কই মাছ বা শিং মাছ খেয়ে যে তৃপ্তি পাওয়া যেত তা এখন চাষ করা মাছে পাওয়া যায় না। বাণিজ্যিক আকারে মাছ চাষের কারণে বিভিন্ন খাবার বা ঔষধ মাছে প্রয়োগ করা হয় এতে করে দেশীয় প্রজাতির মাছের স্বাদ থাকে না।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ। সারাদিন নদ-নদী, খাল-বিলে জাল ফেলেও তেমন মাছ না পাচ্ছেন না মৎস্যজীবীরা। তাদের অভিযোগ, অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবহারের কারণে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার বন্ধে অভিযান চালাচ্ছে জেলা মৎস্য বিভাগ।
আনোয়ার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রাশিদুল হক জনবাণীকে জানান, ‘নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। এছাড়া, দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’
এসএ/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

২১৪ বছরেও স্কুলে নেই নতুনত্বের ছোঁয়া, ছাদ থেকে খসে পড়ছে কংক্রিট

কমলগঞ্জে ট্রাকভর্তি ৪০০ বস্তা ময়দা আত্মসাৎ চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

পাঁচরুখী বেগম আনোয়ারা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

জয়পুরহাটে মাদ্রাসায় নিয়োগে জালিয়াতি: ৯ লাখ ১৪ হাজার ১৫০ টাকা বেতন–ভাতা ফেরতের নির্দেশ
