তেলের দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমায় দেশের বাজারেও দাম কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বেলা ১১টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমছে, ইন্দোনেশিয়াও রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে—এমন পরিস্থিতিতে সরকার তেলের দাম রিভিউ (সমন্বয়) করবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এক-দুমাস আমরা রিঅ্যাসেস করবো। ৫-৭ দিনের মধ্যে মে মাসের পুরো তথ্য নিয়ে রিভিউ করবো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যেটা রিপোর্ট আছে, আজকে দাম কমেছে। আজকের দামের প্রভাব দেশের বাজারে ফেলতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় মাস।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘সুখবর যেটা পাম অয়েলের দাম কমেছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সয়াবিনের দামও কমার দিকে। ৬-৭ দিনের মধ্যে যে সভা হবে, সেখানে অ্যাসেস করে দেখে নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে। আমরা ধারণা, বাড়ার সম্ভাবনা নেই। নতুন দাম অনুযায়ী দামটা কমবে। পাম অয়েলে তো যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বলে মনে করি।’
চালের দাম বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূলত চাল কনট্রোল করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্য চাইলে, সাহায্য করবো। যতটুকু জেনেছি, খাদ্য মন্ত্রণালয় আটটি টিম কাজ করেছে। এসব টিম ইতোমধ্যে বেরিয়ে পড়েছে, জানার জন্য এবং কতটুকু স্টক আছে, তা বের করার চেষ্টা করছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো কিছুর সুফল পেতে হলে সময় দিতে হয়। আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যে তারা আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে। আমাদের দেশে চালের অভাব নেই, যা দরকার তা আছে। কোথাও কোথাও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘একটি সিম্পল প্রশ্ন আমার রয়ে গেছে, সেদিনও বলতে চেয়েছিলাম। যে চালটা ৫০ টাকা, সেটি শুধুমাত্র প্যাকেট করে ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি করছে। একই চাল খোলাবাজারে ক্রেতা কম দামে কিনতে পারেন। নিশ্চয়ই তারা কাস্টমার পাচ্ছেন বলেই বিক্রি করতে পারছেন। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে তারা আজকে প্যাকেটজাত খাবার খাচ্ছেন। না হলে একই চাল বাজারে কম দামেও পাওয়া যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এখন মোটা চাল খেতে চাচ্ছে না। মোটা চালের ক্রেতা নেই। মোটা চাল চিকন করা হচ্ছে। সেই চাল বেশি টাকা দিয়ে কিনে খাচ্ছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকগুলো বড় ব্যবসায়িক গ্রুপ খোলা চালকে প্যাকেট করে বিক্রি করে। এজন্য চালের দাম বেড়ে গেছে। আইন করে এদের এসব কাজ বন্ধ করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।’
মানুষ কিনছে বলেই করপোরেট ওই কোম্পানিগুলো প্যাকেট করে চাল বিক্রি করছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে। এটাকে জোর বন্ধ করার উপায় নেই বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তবে চালের দাম কমাতে প্যাকেটজাত চাল বাজারজাতকরণ বন্ধে যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে খাদ্য মন্ত্রণালয় সহায়তা চায় সেটা করা হবে।
তিনি আরও বলেন,‘যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি না হয় ততদিন পর্যন্তই স্বল্প দামে ১ কোটি মানুষকে পণ্য দেওয়া হবে। আগামী ১৫ জুন থেকে এক কোটি মানুষকে কম দামে পণ্য দেওয়া শুরু হবে। আগের মত ছয়টি পণ্যই দেওয়া হবে।’
ওআ/