হালদার বুকে বিশাল চর আতঙ্কে এলাকাবাসী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


হালদার বুকে বিশাল চর আতঙ্কে এলাকাবাসী

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হালদা নদীর বুকে এক বিশাল  চর জেগেছে। ফলে এ চরে পানির স্রােত বাধা প্রাপ্ত হয়ে অপর পাশের পাড় ভাঙ্গছে। বর্ষায় আরো বেশি ক্ষতির আশংকা করছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার বুক ছিরে প্রবাহিত উত্তাল প্রমত্তা হালদা নদী। শুষ্ক মৌসুমে যেনতেন, বর্ষায় এই নদীর রুপ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। কোন দিকে গড়ে তোলে চর আর চর। আর কোন দিকে ভেঙ্গে চৌচির করে দেয়। সেই হালদার বুকে নাজিরহাট বাজারের পশ্চিম পাশে জেগেছে এক বিশাল চর। এটি বর্ষায় নাজিরহাট, রশিদা পুকুর পাড়, কুম্বার পাড়, পূর্ব সুয়াবিল, নাজিরহাট কলেজ সহ ৮-১০ গ্রামের মানুষের দূর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।  এই চরের কারনে নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কের নাজিরহাট কলেজ সংলগ্ন অংশ বিলীন হওয়ার পথে। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা এটি দ্রুত অপসারণ চায়।

নাজিরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর গাজী আমান উল্লাহ আমান জনবাণীকে জানান, ‍“নদীর বুকে চর মানুষের ভরসার স্থান হয়। আর এখন হালদার বুকে অপ্রত্যাশিত এই   চর দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা এটি অপসারণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার জানিয়েছি। উনারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। হালদার বুকে জাগা চরটি এখন আমাদের প্রধান আতংকের কারণ। বর্ষা শুরু হলে পাহাড়ী ঢলে নামা পানি এই চরের সাথে ধাক্কা লেগে নদীর পূর্ব-পশ্চিম দুই পাড়ে আঘাত করে। এতে দুই পাড়ের ব্যাপক আকারে ভাঙ্গণ সৃষ্টি হচ্ছে।”
 
হালদা নদী গবেষক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া জনবাণীকে বলেন, “এরকম অপ্রত্যাশিক  চর মানুষের দূর্ভোগের মুল কারণ। এটি স্থানীয় লোকজনকে বাড়ি ঘর ভরাট করার জন্য মাটি সংগ্রহ করতে অনুমতি দিয়ে দিলেই হয়। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডে এই চর অপসারণে বিশাল বরাদ্ধ ছেয়ে বসে আছে। এটি কখনো আইনসিদ্ধ হতে পারেনা।”

এ ব্যাপারে নাজিরহাট পৌর সভার মেয়র সিরাজদৌল্লাহ চৌধুরী জনবাণীকে বলেন, “অনুমতি পেলে জনগণ স্ব-উদ্যোগে অপসারণ করতেও রাজি আছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে উদ্যোগ নিলে ভাল হয়।”

এসএ/