চট্টগ্রামে প্রশাসনের সামনেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ গ্রাম সিএনজি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


চট্টগ্রামে প্রশাসনের সামনেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ গ্রাম সিএনজি

চট্টগ্রাম ব্যুরো: লাইসেন্সবিহীন চালক ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বৃদ্ধির পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরের অলিতে গলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শহর এলাকায় চলাচল নিষিদ্ধ গ্রাম সিএনজি। এসব গাড়ির চালকরা অদক্ষ ও আনাড়ি। এ কারণে দুর্ঘটনার মাত্রাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাগজপত্র না থাকলেও ট্রাফিক পুলিশ ও থানার কথিত ক্যাশিয়ারকে ম্যানেজ করেই গাড়ি চালানো হচ্ছে বলে জানান সংশিষ্ট চালকরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন হয়ে উত্তর চট্টগ্রাম এলাকায় চলাচল করলেও এখন এসব গ্রাম সিএনজি ঢুকে পড়েছে মূল চট্টগ্রাম সিটিতে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর টাইগারপাস মোড় থেকে অলংকার, ঝাউতলা, আমবাগান ও ওয়ার্লেস এলাকায় লোকাল যাত্রী নিয়ে বেশিরভাগ চলাচল করছে এসব গ্রাম সিএনজি। এমনকি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে মেট্রো সিএনজির মতন নেট লাগিয়ে চলছে এসব গ্রাম সিএনজি। এসব রোডের অনুমোদিত গণপরিবহন চালকদের অভিযোগ, নিষিদ্ধ গ্রাম সিএনজি শহর এলাকায় চলাচলের কারণে নিয়মিত যাত্রী হারাচ্ছেন তারা। 

শহর এলাকায় নিষিদ্ধ হওয়ার পরও পুলিশ প্রশাসনের সামনেই এসব গ্রাম সিএনজি কিভাবে চলছে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমা জনবাণীকে বলেন, ‘শুধু আমার ডিভিশনেই আমার মনে হয় এক সপ্তাহের মধ্যে ২০০ এর উপরে সিএনজি আটক হয়েছে। এটা কমিশনার স্যারেরই নির্দেশনা। কমিশনার স্যারও এ বিষয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’ এছাড়াও যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি রাতের আঁধারে মাদক বেচাকেনা ও ছিনতাই কাজেও এসব গ্রাম সিএনজি বেশি ব্যবহৃত হয় বলেও জানান স্থানীয়রা। 

অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন খাতে আদায় করা চাঁদার বড় একটি অংশ যায় ট্রাফিক ও থানা পুলিশের কর্তাব্যক্তিদের কাছে। তবে কর্তৃপক্ষ বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন অবৈধ পরিবহন জব্দ, জরিমানা কিংবা উচ্ছেদ করার ক্ষমতা ট্রাফিক বিভাগের থাকলেও, চাঁদাবাজির নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করতে হবে থানা পুলিশকেই।

এসএ/