পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু, আহত ৫


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু, আহত ৫

সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে একই পরিবারের নিহত হয়েছেন ৪ জন। আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে কারণে পাহাড় ধসে একই ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৬ জুন) ভোর ৫ টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়নের ঠাকুরির মাটি পূর্ব সাতজনি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পূর্ব সাতজনি গ্রামের মোঃ জুবের আহমদ (৩৫), তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০), তাদের পাঁচ বছরের শিশু সন্তান শফি আহমদ ও ওই পরিবারের সদস্য মাওলানা রফিক আহমদের স্ত্রী সামিরা বেগম।

নিহতদের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আহতদের ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ও আহতদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঠাকুরির মাটি পূর্ব সাতজনি গ্রামে পাহাড় কেটে অনেকেই বাড়িঘর নির্মাণ করেন। এর মধ্যে ওই পরিবারও পাহাড় কেটে বাড়ি করেন। গেল কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসে একটি কাঁচাঘরের উপর মাটি পড়ে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় মাটি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই ওই ঘরের বাসিন্দা একই পরিবারের চারজন নিহত হন। আহতাবস্থায় স্থানীয়রা ৫ জনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে- খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে পরিবারের নিকট লাশগুলো হস্তান্তর করে। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমেদ। 

অপরদিকে, পাহাড় ধসের ঘটনায় আহত ও নিহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসন। আহতদের চিকিৎসায় ৫ হাজার করে টাকা ও নিহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার করে টাকা এবং শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। 

সোমবার (৬ জুন) সকালে এসব টাকা ও খাদ্য সামগ্রী আহত ও নিহতদের পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল আহমদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম প্রমুখ। 

ইউএনও আল-বশিরুল ইসলাম জনবাণীকে বলেন, ‍“এটা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। দুঃখজনকও বটে। আমরা আহত ও নিহতদের প্রতি শোক জানাচ্ছি পাশাপাশি তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহতদের ৫ হাজার ও নিহতদের ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার প্রদান করা হয়েছে। আমি এসব পরিবারের লোকজনের মধ্যে নগদ অর্থ ও খাবার তুলে দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আমরাও তাদের সর্তক করবো। পাহাড়ের তলদেশে অবস্থানকারীদের অবশ্যই সর্তক হতে হবে। কেননা এমন মর্মান্তিক ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্ত না হয়।”

এসএ/