অবাধে চলছে বিষাক্ত এলুমিনিয়াম কারখানা, দেখার নেই কেউ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


অবাধে চলছে বিষাক্ত এলুমিনিয়াম কারখানা, দেখার নেই কেউ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে একটি অনুমতি বিহীন বিশাক্ত এলুমিনিয়াম ফ্যাক্টরি। পরিবেশ দূষনকারী বিশাক্ত এ এলুমিনিয়াম ফ্যাক্টরি নিরবে চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল। অনুমতি বিহীন এ বিশাক্ত এলুমিনিয়াম ফ্যাক্টরি পরিচালিত হয়ে আসলেও রহস্যময় কারণে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিচ্ছে না কোন পদক্ষেপ। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে এই রকমের ফ্যাক্টরির বিষয়ে তাঁরা অবগত নন। বিষয়টি কতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউপির মনসার টেকস্থ অপসরি কমিউনিটি সেন্টারের পাশে অবস্থিত প্রতিদিন সন্ধা ঘনিয়ে আসতেই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভাঙা, পুরাতন, অকেজো এলুমিনিয়াম গুলো পোঁড়ানোর কাজ শুরু হয়। সারা রাত ধরে এই বিশাক্ত রাসায়নিক এলুমিনিয়াম পোঁড়ানো হয়। আশ পাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে রাসায়নিক এ বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। যার কারণে বিশাক্ত এই রাসায়নিক কালো ধোঁয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করে নানা রকমের রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে।

নাম না বলা শর্তে স্থানীয় মুদির দোকানদার জানান, এই নিউজ গুলো করে কোন লাভ নেই ভাই। আমি এই এলাকায় প্রায় ৫-৬ বছরের মত দোকান করছি কত কি দেখছি কিছুই করতে পারবেননা। তাদের উপরের লেভেলের মানুষের সাথে হাত আছে। অনেকজনকে দেখেছি নিউজ করতে আসতে কিন্তু রহস্যময় কারনে তারা নিউজ না করে চলে যায়। এই এলুমিনিয়াম ফ্যাক্টরির প্রভাবে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখানে থাকা অনেক বড় বড় গাছ মরে গেছে। এখনতো একেবারেই আর কোন কিছু করার উপায় নেই কারণ এই ফ্যাক্টরি যার তিনি এখন এই এলাকার জনপ্রতিনিধি ইউপি মেম্বার।

পরিবেশবাদী নেতা আবু জাফর জনবাণীকে জানান, ‍“এলুমিনিয়াম ফ্যাক্টরিতে পোঁড়ানো ধোঁয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করে বড় ধরণের রোগ ব্যাধি সৃষ্টি করে। এখন বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনবরত পরিবেশ দূষণের কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন দেখা দিতে পারে পৃথিবীতে। তাই জীবনের অস্তিত্ব রক্ষায় আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।”

এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক স্থানীয় ইউপি সদস্য বকুল জনবাণীকে জানান, “প্রতিষ্ঠানটি তাঁর এক বন্ধুর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেখাশুনা করেন। নিউজ করে কি লাভ  হবে। সবাই তো এক জায়গার মানুষ। আপনার বিষয়ে আমার বন্ধু ফারুককে বলব যাতে যোগাযোগ করে।”

এলুমিনিয়াম ফ্যাক্টরির মালিক ফারুকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, “এটাতো বড় কোন ফ্যাক্টরি না, ছোট্ট একটা ফ্যাক্টরি, তাও চালায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই। সব ধরণের কাগজ পত্র আামাদের কাছে আছে।” 

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কর্যাললের উপপরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার জনবাণীকে জানান, “পটিয়ার এই এলুম্যানিয়ম বিষটি আমি অবগত নই। আপনাদের থেকে জানতে পারলাম। এ ধরনের ফ্যাক্টরি যদি থেকে থাকে তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

এসএ/