দাম্পত্য কলহের জেরে শিমুকে হত্যা, স্বামী নোবেলের দায় স্বীকার
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক: পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে চিত্রনায়িকা
রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার
স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল।
মঙ্গলবার
(১৮ জানুয়ারি) ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন ঢাকা
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার।
এসপি
মারুফ হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার শিমুর স্বামী শাখাওয়াত আলী
নোবেল মডেল শিমুকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
চিত্রনায়িকা
রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল
ও গাড়িচালক ফরহাদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের
একটি সূত্র জানিয়েছে, গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে র্যাবের কাছে তিনি কিছু তথ্য দেন।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বামী নোবেল এই খুনের দায় স্বীকার করেছেন। তার কাছ থেকে উদ্ধার
হওয়া খুনের আলামত প্রাইভেটকারের ব্যাকডালায় রক্ত দেখা গেছে। প্রাইভেটকারটি জব্দ করা
হয়েছে।
স্বামী
ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। রোববার (১৬ জানুয়ারি)
সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায়
রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন সোমবার কেরানীগঞ্জের
হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ
উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার বোনজামাই নোবেল প্রায়ই শিমুকে মারধর করতেন। তিনি মাদকাসক্ত।
এর
আগে গতকাল সোমবার কেরানীগঞ্জ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি
মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তার মরদেহ রাখা হয়েছে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড) মর্গে। সেখানেই শিমুর স্বামী ও গাড়িচালক ফরহাদ গেলে তাদের
আটক করে র্যাব।
১৯৯৮
সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক
হয়। একে একে অভিনয় করেছেন ৫০ টিরও বেশি নাটক। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসবেও দর্শকরা
তাকে পর্দায় পেয়েছে। ২৩ চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছিলেন।
ওআ/