মোটরসাইকেল চুরি করে মালিকদের ব্লাকমেইল করতো তারা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া এলাকা হতে সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোরাকারবারী চক্রের ২ সদস্য’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। এ সময় চোরাইকৃত বিভিন্ন মোটর সাইকেলের নাম্বার প্লেট ও যন্ত্রাংশসহ মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন জেলার একটি সংঘবদ্ধ গাড়ি চোরচক্র দীর্ঘদিন যাবৎ গাড়ি চুরি করে গাড়ীর মালিকদের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা দাবী করতো। তাদের চাহিদামত টাকা না দিলে কিংবা টাকা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ীর প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ অবৈধভাবে খুচরা মূল্য বিক্রয় করে দিতো। এরই প্রেক্ষিতে গত (২৭ মে) এক ব্যাক্তির গাড়ি চুরি হলে তিনি র্যাব-৪ বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করলে র্যাব অভিযোগটি যাচাই এবং ছায়া তদন্ত নামে।
র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রবিবার (১২ জুন) বিকেল ৬ টায় কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন সাহেবাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত মোটরসাইকেলসহ সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার মোঃ আলী আকবর (২০) এবং মোঃ খাইরুল ইসলাম (২০)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় তাদের নিজ নাম ঠিকানাসহ পলাতক সহযোগী আসামীদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেছে।
আসামীরা র্যাবকে আরো জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মোটর সাইকেল চোরাই চক্রের সদস্য। আসামীরা পলাতক আসামীদের সহায়তায় পূর্ব পরিকল্পনা মতে পরস্পর যোগসাজসে ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা হতে মোটর সাইকেল চুরি করে নিজেদের দখলে রেখে গাড়ীর মালিকদের মোবাইল নম্বরে ফোন করে তাদের নিকট হতে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা দাবি করতো। কেউ টাকা দিতে না চাইলে আসামীরা তাদের চুরিকৃত গাড়ীর বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ খুলে তা বিভিন্ন মটরস এর দোকানে খুচরা মূল্যে অবৈধভাবে বিক্রয় করে দিতো। এভাবে আসামীরা পলাতক অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন যাবত অসংখ্য মোটর সাইকেল চুরি করে মোটা অংকের বিপুল পরিমান টাকা আদায় করার কথা স্বীকার করেছে। এ চক্রের আরোও অনেকে পলাতক রয়েছে। যাদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযানিক দল তৎপর রয়েছে।
র্যাব আরো জানায়, আসামীদের বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী দলের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসএ/