ময়মনসিংহের উজ্জল হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
২০১৩ সালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার বতিহালা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. উজ্জল মিয়া হত্যা মামলায় তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামালের আদালত আসামিদের উপস্থিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নওশাদ, শাহাবুদ্দিন ও সবুজ। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, মরম, মহিম, কারিম, জসিম, মিয়া হোসেন ও জালাল উদ্দিন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় যাদের খালাস দেয়া হয়েছে তারা হলেন, ইসলাম, এমদাদুল, কুদ্রত আলী ও হাছেন আলীর বিরুদ্ধে । আরেক আসামি রশিদ মামলার বিচার চলাকালে মারা যান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ রাত ৯ টার দিকে পাশের এলাকা থেকে বার্ষিক দোলযাত্রা মেলা থেকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন উজ্জল মিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন নজর আলী ও কালাম। বতিহালা এবতেদায়ী মাদ্রাসার কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উজ্জলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তাকে মারাত্মক জখম করে, দুই পা ভেঙ্গে দেয়। উজ্জল ও সঙ্গীয়দের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। উজ্জলকে ধোবাউড়া হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৩০ মার্চ উজ্জলেল বড় ভাই কুদরত আলী ধোবাউড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন সিআইডির সাব-ইন্সপেক্টর পরিমল চন্দ্র সরকার। ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ওআ/