জবিতে যত্রতত্র পার্কিং, দুর্ভোগ চরমে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে আয়তনে অনেকটাই ছোট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এই ছোট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হাঁটাচলার জায়গা খুবই কম। তারমধ্যে আবার ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্র ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার্কিংয়ে সংকুচিত হয়ে পড়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণার স্থান।
একাডেমিক বিল্ডিং এর নিচে বেজমেন্টে অব্যবস্থাপনা ও ক্যাম্পাসের নিকটে পার্কিংয়ের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বর, শহীদ মিনারের আশপাশ, ক্যান্টিনের সামনে, বিজ্ঞান অনুষদ ও কলা অনুষদের মাঠে বাইক পার্কিং করছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেইজমেন্টে অব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার্থীদের অনিচ্ছার কারনে শান্তচত্বরের ভাস্কর্য ঘিরে পার্কিং করা রয়েছে মোটরসাইকেল। এভাবে যত্রতত্র মোটরসাইকেল পার্কিং এর কারনে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির পর মানবজট সৃষ্টি হয় যাতে ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী তারিখ হাসান বলেন, “আমাদের ক্লাস শেষ হলেই শান্তচত্বরের চারপাশে মোটরবাইক পার্কিং এর কারনে চলাচলে অসুবিধা হয়৷ এটা দৃষ্টিকটুও বটে। যদিও আমাদের ক্যাম্পাস ছোট কিন্তু প্রশাসন চাইলে সমস্যাটির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সংকীর্ণ ক্যাম্পাসে ঠিকভাবে চলাচল করতে পারি না। কিছু লোক তাদের ব্যক্তিসার্থে নিজস্ব গাড়ি গুলো ক্যাম্পাসের যেখানে সেখানে রেখে দেয়। এগুলো রাখার জন্য তো নির্দিষ্ট জায়গা আছে। সেখানে রাখলে আমাদের মত সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হয়।”
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মো. সাঈদুর রহমান জনবাণীকে বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেহেতু একাডেমিক বিল্ডিং এর ওখানে বাইক রাখাটা দৃষ্টিকটু লাগে তাই এ বিষয়ে প্রক্টর স্যারের সাথে কথা বলে মসজিদের সামনের ফাঁকা জায়গাটাতে এবং বাকিটা আন্ডারগ্রাউন্ডে রাখার ব্যবস্থা করবো।”
এসএ/