ত্রিশালে কালের স্বাক্ষী বটগাছ, কেউ জানেনা গাছটির বয়স
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ত্রিশাল প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশালের মোক্ষপুর ইউনিয়নের সাপখালী এলাকায় অনেক ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক বিশালাকার বটবৃক্ষ। তবে কেউ বলতে পারেনা এই বটবৃক্ষের বয়স কত!
এই পুরাতন বটগাছটি দিব্যি দাড়িয়ে প্রমান করে আসছে প্রবীনতার কালের স্বাক্ষী হিসেবে। এই বটগাছের পাশেই রয়েছে লালপিরের মাজার। প্রতিবছরের নির্দিষ্ট সময়ে পির ভক্তরা এসে ভীর জমায় এখানে। নানান ধরনের আয়োজন থাকে সেখানে। এলাকায় তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এই পির কে, কোথা থেকে এসেছে বা কেউ কখনো দেখেছে কিনা? কেউ বলতে পারেনা!
লোকমুখে শোনা যায়, এই বটবৃক্ষের পাতা ছিড়ে বেশ কয়েকজনের শরীরে জ্বর এসেছিল। তারপর থেকে ভয়ে কেউ পাতা ছেড়া বা ডালপালা ভাঙার সাহস পায় না।
আরও শোনা যায়, এখানে এসে মনের ইচ্ছা, বাসনা ব্যক্ত করলে তা মহান আল্লাহ পূরণ করেন। বটগাছটির একেবারে কাছেই ভক্ত কূল এসে দোয়া, প্রার্থনা ও মানত করেন। থাকে ভূরিভোজের আয়োজন।
বটগাছটি দেখতে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে আসে লোকজন। বেশকয়েকবার ঝড়-তুফানে ওই পুরানো বটগাছটির ডালপালা ভাঙলেও প্রতিবারই আবারও স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠে গাছটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বটগাছের শেখর ও ডালপালা মাটিতে পড়ে আবার পুনরায় গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এখন ডালপালা ও শেখর থেকে বিশাল বিশাল শেকড় মূল হয়ে একসাথে জড়িয়ে রয়েছে। আবার কিছু দূর দূর ডালপালা থেকে অসংখ্য মূলের সৃষ্টি হয়েছে। মূল বট গাছ থেকে শাখা প্রশাখার বটগাছ গুলো দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে। কমপক্ষে হলেও ২০ থেকে ২৫ টি এমন মূল রয়েছে। এই পুরাতন বটগাছটির ডালপালা বিশাল আকৃতির। ডাল পালাগুলো চারদিকে ছড়িয়ে বছরের পর বছর ছায়া দিচ্ছে। ওই বট গাছের পাশে লালপীরের মাজার নামের একটি মাজার রয়েছে । এই মাজাওে প্রতিবছর ওরস মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাজারে এসে লোকজন এই বটগাছটির নিচে দোয়া , প্রার্থনা ও মানত করে থাকেন।
অবশ্য কেউ কেউ বলছেন প্রথমে এই বটগাছটি মাজারে ছিল। মাজার থেকে এনে কেউ পাশেই ডালপালা ফেলে দিলে এই স্থানে বটগাছটি জন্মায়। তবে এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য কেউ দিতে পারেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মালেক, জাকির, শরিফসহ কয়েকজন জানান, প্রথমে এই বটগাছের পাতা ছিঁড়লেই নাকি শরীরে জ্বর হতো । বটগাছটি নিয়ে অনেক অলৌকিক ঘটনা রয়েছে বলেও তিনি জানান। যা পূর্বপুরুষদের মুখে মুখে শুনে আসছেন তিনি। যুগে যুগে কত সব রহস্যময় জিনিস দেখে আসছে মানুষ।
এসএ/